পৌষমেলা ২০২৩ আয়োজিত হতে চলেছে চিরাচরিত শান্তিনিকেতনের মাঠে।

গতশনিবার আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বভারতীর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই পৌষমেলা ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত শনিবার আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বভারতীর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই পৌষমেলা ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালে পরিবেশ দূষণের জরিমানার দায়ে স্থগিত রাখা হয়েছিল শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। যথাযত বিশ্ব বিখ্যাত এই মেলাটি আয়োজন করার জন্য কর্তৃপক্ষদের দু মাস আগাম সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে কোন তথ্য না পাওয়ার জন্য সেই প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি । তাই এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিখ্যাত এই মেলার আয়োজন করা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে কর্তৃপক্ষদের।

বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহ্য সম্পূর্ণ এই মেলাটি ২০১৯ সালের পরে বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল । তাই পরিকাঠামো গত কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে । ২০০ এর বেশি ছোট বড় স্টল বসে এই মেলায় রীতিমতো শুরু হয়ে গেছে, অনলাইনে মেলার স্টল বুকিং এ পদ্ধতি । দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসে এই মেলার ঐতিহ্য সম্পন্ন সামগ্রী ক্রয় করার জন্য। কিন্তু এত মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার পরিকাঠামো এত অল্প সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা সম্ভব হবে কি ? কাজেই মেলা ঘটিত হওয়ার অনুমতি মিলেও সময়ের অভাবে তা পরিণতি পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।

মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে এত কিছু আয়োজন করার জন্য যে সমস্যার মুখমুখী হতে হচ্ছে , তার একটি লিখিত দেওয়া হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষদের। কিছু অর্থ সাহায্যের প্রার্থনা করা হবে বিশ্বভারতী কাছ থেকে। সব সমস্যার অগ্রগতির সাথে সমাধান হলেই আগামী পয়লা পৌষ থেকে শুরু হতে চলেছে অতিচিরাচরিত বিশ্ব বিখ্যাত শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ।

গত ২০১৯ সালে বোলপুরে দূষণের কারনে এই পৌষ মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বর্তমানে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আবারো মেলা আয়োজন করার অনুমতি নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে মেলার প্রতিটি আয়োজনই যেন পরিবেশের কথা মাথায় রেখে করা হয় এবং বোলপুর শান্তিনিকেতনের মতন প্রকৃতি কেন্দ্রিক জায়গার কোনো ক্ষতি না হয় সেই দিকেও বিশেষ পর্যবেক্ষণ রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।




Leave a Reply

Back to top button