শিক্ষার নয়া ব্যবস্থায় হিসাবে আসছে PPP Model, এই মডেল সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত

এবার রাজ্যে পিপিপি মডেলে স্কুলের (PPP Model School) নয়া ভাবনা তৈরী করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সেই হিসাবে খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেই খসড়া পাঠানো হবে অন্যান্য দফতরগুলিকে । এবং সেটিকে পাশ করানোর জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার কাছে পেশ করা হবে এরপর। ঠিক কীরকম পদ্ধতিতে কাজ করবে এই পিপিপি মডেল? তাহলে কী পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার বেসরকারিকরণ হয়ে যাচ্ছে? খসড়া নীতি শোনার পর অনেকেই প্রশ্ন করেছেন এটি।

PPP Model school

পিপিপি মডেলে স্কুলের বিষয়ে যে খসড়া নীতি তৈরি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর (School Education Department), তাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরকারি জমি, বাড়ি, পরিকাঠামো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। স্কুলগুলির যে পরিকাঠামোগত দিকগুলো রয়েছে সেগুলিকে কোনও এক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গাতেই থাকবে বেসরকারিকরণের রীতি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বেসরকারি সংস্থা স্কুলগুলিতে অনায়াসেই শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। পড়াশোনার খরচ এবং অন্যান্য খরচ ধরে ঠিক করা হবে স্কুলের মোট ফি। শিক্ষায় এই পিপিপি মডেল নিয়ে আসা হলে, শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ফিরতে পারে বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। তবে গোটা বিষয়টি খসড়ার পর্যায়ে রয়েছে এখনও । বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে নিলামের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু অংশ বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে এই খসড়াটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে তবেই এসমস্ত কর্মসূচি শুরু করা হবে।

এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতা চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, “এক ধরনের বেসরকারিকরণের দিকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর তীব্র বিরোধিতা করছি। কারণ, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ, প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ – তাঁরা যে সাধারণের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর এতদিন ধরে নির্ভরশীল ছিল, তার জায়গায় অর্থ দিয়ে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার ভাবনা রাজ্য সরকার নিচ্ছে – তা এই রাজ্যের ক্ষেত্রে কখনোই ফলপ্রসু হবে না। কারণ আমাদের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বিশাল সংখ্যক মানুষ এতদিন ধরে নির্ভরশীল ছিল।”

এই বিষয়ে এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকার একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি করেছে এবং অতি দ্রুততার সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের মতামত নিয়ে কর্পোরেট, শিল্পপতিদের সঙ্গে আলোচনাও সেরে ফেলেছে ৷ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে বেসরকারি মালিকদের হাতে স্কুল শিক্ষাকে তুলে দেওয়ার এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

Arvind Kejriwal : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল অভিযোগ




Leave a Reply

Back to top button