ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি! মাঝরাতে রোদ্দুর রায়ের গানে কানের পর্দা ফাটার দশা জেল বন্দিদের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে আপাতত গ্রেফতার মোক্সাবাদের বাহক রোদ্দুর রায়। কিন্তু হেফাজতে থেকেও যেন মোক্সাবাদের এই বাহক শান্তি কেড়ে নিল অন্যদের। রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই জেলের মধ্যেও ঘুম নেমে আসে। যত বড়ই আসামী হোক না কেন, রাত বাড়লে গা এলিয়ে দিতে সকলেই ভালোবাসে। কিন্তু আর পাঁচটা মানুষের সঙ্গে রোদ্দুর রায়কে তুলনা করা যায় না। তার শিক্ষা এবং আচরণ যে কোনও সাধারণের থেকে আলাদা। এমন একটা দর্শনকে সে মানুষের মধ্যে জাগাতে চায়, যার গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নেই। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেকে মৃত্যুতে তপ্ত হয়ে উঠেছিল শহর কলকাতা। তার মধ্যে আবার রুপঙ্করের কেকে বিতর্ক। এই সব কিছু নিয়েই একটি ভিডিও বানান রোদ্দুর রায়। যেখানে কেকে’র মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের সেদিনের অব্যবস্থা ও শিক্ষা নিয়ে চলা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। ভিডিওতে রাজ্য চলা অব্যবস্থার কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসেন এই ইউটিউবার। আর তাতেই যেন একেবারে বিপদকে গলা জড়িয়ে নেন তিনি। লালবাজার পুলিশের উদ্দ্যোগে গোয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

roddur roy 1

এরকম ঘটনা প্রথম নয়! নিজের ভিডিওতে  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো একাধিক ব্যাক্তিত্বশালীদের নিয়ে অশ্রাব্য কথা বার্তা বলে থাকেন রোদ্দুর রায়। কিন্তু গ্রেফতারি এই প্রথম। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতেই হেফাজতে ইউটিউবার। কিন্তু সেখানে গিয়েও যে শান্তি দেননি অন্য বন্দিদের। মাঝ রাতে নিজের গানের মাধ্যমে সকল বন্দিদের ঘুম ভাঙিয়েছেন তিনি। রোদ্দুর রায়ের সেলে আরেক জন বন্দি রয়েছেন নাম তাঁর পাপ্পু। তিনি জানিয়েছেন,  “রাতদুপুরে চোখ খুলতেই দেখি সাদা দুটি চোখ মুখের কাছে এসে গিয়েছে। দিয়ে বলছে এখন ঘুমানোর সময় নয়। এটা গান করার সময়।” এমন ঘটনায় প্রথমেই অবাক হয়ে পড়েন পাপ্পু। তার মতে তাকে এই প্রস্তাব যে কে দিয়েছিল সে তা বরাবর বুঝতে পেরেছিল। রাতদুপুরে জেলের মধ্যেই গান করতে শুরু করে দেন রোদ্দুর রায়। তার ওই গানের জেরে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন অন্য বন্দিরাও।




Leave a Reply

Back to top button