ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন, গর্বিত মোদী, আবেগে ভাসলেন মমতা

শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে। রাঙামাটি, বাউল গান, কোপাই নদীর দেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়ায় মূর্ত।

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। বীরভূম জেলা তো বটেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশের কাছেই গর্বের মুহূর্ত। রবিবার সরকারিভাবে এই ঘোষণার পরেই উপচে পড়ছে শুভেচ্ছাবার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মোদী লিখেছেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে গর্বের’। অন্যদিকে মমতা লিখেছেন, ‘বিশ্ববাংলার গর্ব’।

শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে। রাঙামাটি, বাউল গান, কোপাই নদীর দেশ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়ায় মূর্ত। ২০২১ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস ‘হেরিটেজ’ বিভাগে শান্তিনিকেতনের নাম প্রস্তাব করেছিল। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছিলেন এই খবর। দু’বছর পর মিলল সাফল্য। আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা পেল শান্তিনিকেতন।

Santinekatan,World Heritage,Unesco,Mamata Banerjee,Narendra Modi

১৯২১ সালে শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতীর পথ চলা। তারপর কেটে গিয়েছে ১০০ বছর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার বিশ্বভারতীর আচার্য। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘অত্যন্ত আনন্দিত যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত রূপ এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় উঠে এসেছে। সমগ্র ভারতবাসীর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত’।

উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, ‘যারপরনাই আনন্দিত এবং গর্বিত যে অবশেষে গুরুদেবের ভূমি শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দিয়েছে। এটা বাঙালির গর্ব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গোটা বাংলার মানুষ, কবি শান্তিনিকেতনের সাহচর্য পেয়েছে। রাজ্যের তরফে আমরা গত ১২ বছর আগেই স্বীকৃতি দিয়েছি শান্তিনিকেতনকে। যাঁরা বাংলা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভালোবাসেন তাঁদের কুর্নিশ। জয় বাংলা। গুরুদেবকে প্রণাম’।

ইউনেস্কোর করা ট্যুইট রিপোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  সঙ্গে লিখেছেন, ‘ইউনেস্কোর করা ট্যুইট রিপোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, ‘প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে গর্বের মুহূর্ত। শান্তিনিকেতন নামের সঙ্গেই শিক্ষা ও উৎকর্ষতা জড়িয়ে আছে’।




Leave a Reply

Back to top button