West Bengal Primary School: নারী মানে কি পিছিয়ে পড়া? শিক্ষক-শিক্ষিকা নয়, রান্নার মাসির হাতে অঙ্ক শিখছেন স্কুলের পড়ুয়ারা

মন্টি শীল, কলকাতা: সাধারণত শিক্ষক অর্থে মনে করা হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার কারিগর। একটি শিক্ষিত এবং সুন্দর সমাজকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষক ( Teacher ) এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একথায় বলতে গেলে বলা যায়, শিক্ষকরা হলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পথপ্রদর্শক। ভারতবর্ষের সভ্য সমাজের সংস্কৃতি অনুযায়ী শিক্ষা গুরুর স্থান সদা সর্বোচ্চ স্থানে বিরাজমান। আর তাই জন্মদাতা মা-বাবার পরেই শিক্ষা গুরুর স্থান রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি এই শিক্ষক সমাজকে কেন্দ্র করে যে ভিন্ন চিত্র সকলের সামনে উঠে এলো তা দেখা পর হতবাক অনেকেই।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় অবস্থিত নয়ন সুখ শ্রীমন্ত পাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আর যেই শিক্ষার কথা এখানে বলা হতে চলেছে তিনি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রান্নার কাজে যুক্ত। প্রতিদিনের মতো এইদিনও স্কুলের মিড ডে মিলের খাওয়ার তৈরি করার জন্য বিদ্যালয়ে পৌছান বিশাখা দেবী। সেখানে পৌছে দেখলেন ঠিক মতো অঙ্ক করতে না পারায় চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বকুনি দিচ্ছেন বিদ্যালয়ের অঙ্ক শিক্ষক। সেই দেখেই অঙ্ক শেখানোর জন্য ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন তিনি। টেবিল থেকে চক তুলে নিয়ে শুরু হয় অঙ্কের ক্লাস তাঁর এই কীর্তি রীতিমতো অবাক করে স্কুলে কর্মরত সকল সহ শিক্ষক এবং উপস্থিত পড়ুয়াদের।
আবার অপরদিকে ধরা পড়েছে এক ভিন্ন চিত্র। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে বাঁকুড়া চড়ুইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘটনা। শিক্ষকের নাম রাজীব কুমার দীক্ষিত, তিনি পেশায় এই স্কুলের একজন শিক্ষক। কিন্তু, একজন পেশাদার শিক্ষক হলেও তিনি জানেন না বাংলা, এমনকী ঠিকঠাক ইংরেজি পড়তে জানেননা। শিক্ষকের এই কীর্তিকলাপ সামনে আসতেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, এমন অযোগ্য শিক্ষককে স্কুল থেকে সরানোর দাবি তুলে বিদ্যালয়ের সদর দরজাতে তালা ঝুলিয়ে দেন অভিভাবকরা।
এই দুটি ঘটনাই রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সমগ্র নেটমাধ্যম জুড়ে। এমনকী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকমের মন্তব্য আসতে শুরু করেছে নেটিজেনদের তরফ থেকে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা দেখার পর মন্তব্য করতে পিছু পা হননি সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিত্বরা। সকলেই কার্যত তাঁদের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের শিক্ষাগত কাঁঠামোকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তবে একদিকে যেমন রাঁধুনি দিদিমণির অঙ্ক শেখানোর পদ্ধতিকে প্রসংশা করেছেন। তেমন বাঁকুড়া চড়ুইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীব কুমার দীক্ষিতকে অকৃতকার্যতা নিয়ে করেছেন কটূক্তি।