চিকিৎসকের হাতে যেন জাদু কাঠি! মরণাপন্ন এক রত্তি শিশুকে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরিয়ে আনল SSKM

এক রত্তির শিশু। পৃথিবীর আলো দেখছে কয়েক মাসই হয়েছে আর তারই মধ্যে যেন ঘটলো অঘটন। খেলা করতে করতে কাজলের ( SSKM ) কৌটো গিলে ফেলেছিল সে। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। আর সময়ের সাথে সাথে যেন বাড়তে থাকে কষ্টের পরিমাণ। এই খারাপ পরিস্থিতিতেও নিজের প্রাণকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যায় সে। এমন ছবি দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন পরিবার-পরিজন। বুকে চাপ দিয়ে ছোটেন হাসপাতালে। নিউটাউনের বাসিন্দা তারা। আর আমাদের দেশে কোনও গুরুত্বর রোগীকে নিয়ে ধরাধরি খেলতে বেশ ভালোবাসে ( SSKM ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা। আর এদিনও ঘটে তেমনই প্রথমে বিধাননগর হাসপাতাল। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে এনআরএস। সেখানে ঘন্টার পর ঘণ্টা ঘোরাঘুরি। অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে মেলে চিকিৎসা।
এসএসকেএমের চিকিৎসকরা ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে শিশুটির গলা থেকে কাজলের কৌটো বের করা হয়। এখন পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকুতে (PICU) চিকিৎসাধীন ওই শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ আট মাসের শিশু রীতেশ বাগদী খেলতে খেলতে একটি কাজলের কৌটো গিলে ফেলে। আর সেই থেকেই ঘটে বিপত্তি। এক রত্তির ওই শিশুকে নিয়ে প্রথমে যাওয়া হয় বিধাননগর ( SSKM ) মহকুমা হাসপাতাল। সেখান থেকে রীতেশকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এনআরএস। কিন্তু সেখানেও গিয়ে মেলেনি কোনও চিকিৎসা। ঘণ্টার পর ঘন্টা শুধুই জরুরী বিভাগের এদিক ওদিক ঘোরে রীতেশের বাবা-মা। বাড়তে থাকে শ্বাসকষ্ট।
আরও পড়ুন…National Safety Day: ঠিক কবে থেকে পালন করা হয় এই দিনটি এবং উদ্ধেশ্যই বা কি, জেনে নিন
এমতাবস্থায়, সকাল ৯টার দিকে ওই শিশুকে রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। শিশুটিকে নিয়ে পৌঁছতে সময় লেগে যায়। সকাল ১০টা নাগাদ তাক ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এর জরুরী বিভাগে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে যখন এনআরএস হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তখনই তার শরীরে ( SSKM ) অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গেছে ৫০ শতাংশের নীচে। হাসপাতালে যখন শিশুটিকে নিয়ে পৌঁছয় তখন শিশুটির অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি শিশুটিকে ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে কাজলের কৌটো বের করা হয় শিশুটির দেহ থেকে। বর্তমানে তাকে পিকুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন বেশ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে শিশুটি। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, ল্যারিঙ্গোস্কোপির পরিকাঠামো এনআরএসের মতো ( SSKM ) মেডিক্যাল কলেজে নেই, এটা অবিশ্বাস্য। শিশুর শরীরে যখন অক্সিজেনের মাত্রা ৫০ শতাংশের নীচে নেমে গেছে, তখন তাকে অন্য হাসপাতালে রেফার না করে কেন সেখানে চিকিৎসা করা হয়নি। ভাগ্যক্রমে শিশুটির প্রাণ বেঁচে গেছে। যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারে তলানিতে।