বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানো হতে পারে শুভেন্দুকে, তাঁর জায়গায় কে? ২৪-এর আগে বিজেপির বড় গেমপ্ল্যান
সুকান্তকে নিয়েও অন্য ভাবনা রয়েছে শাহ-নাড্ডার

দু’দিন আগেই পদ খুইয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখন দিলীপ শুধুই সাংসদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। সামনে লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না শাহ-নাড্ডারা।
বিজেপিতে দলীয় রদবদলের কথা কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। দিলীপকে দিয়েই সেটা শুরু হল। তবে শুধু দিলীপ নন। রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, আরও দুটি বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে। তাতে তোলপাড় পড়তে পারে বঙ্গ রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, পরিবর্তনের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের পদও নাকি আছে।
সুকান্ত বর্তমানে রাজ্য সভাপতি। কিন্তু আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শাহ-নাড্ডারা যে গেমপ্ল্যান সাজাচ্ছেন, তাতে সুকান্তকে বাংলা থেকে সরিয়ে দিল্লির মন্ত্রী করা হতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যেই ক্যাবিনেটে রদবদল করবেন মোদী। সেখানে বাংলার দুই মন্ত্রী বাদ পড়তে পারেন। তাঁদের জায়গা নিতে পারেন সুকান্ত। এবং অন্যজন দিলীপ। হ্যাঁ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ থেকে সরানোর পরই দিলীপকে আশ্বাস দিয়ে নাড্ডা বলেছিলেন, ‘হতাশ হবেন না, আপনার জন্য বড় কিছু অপেক্ষা করছে’।
এখন শুভেন্দুর ভবিষ্যৎ কী? গত কয়েকদিনে দিল্লিতে গিয়ে দুবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন শুভেন্দু। রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন। বিধানসভায় মমতার বিরুদ্ধেও ফ্রন্ট খুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর এই যুদ্ধংদেহি মনোভাব বেজায় পছন্দ হয়েছে মোদী-শাহের। তাই তাঁরা চান, সুকান্তর জায়গায় শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করা হোক। কিন্তু এতে শুভেন্দু রাজি নন। ২০২৪-এর নির্বাচনে বিজেপি যদি হেরে যায় তাহলে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের কোনও মূল্য থাকবে না। সেদিন থেকে বিরোধী দলনেতার পদ নিরাপদ। সম্মানেও ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান। তবে শুভেন্দুর উপর আরএসএস-এর ভরসা নেই বলে শোনা যাচ্ছে। তারা চায়, দিলীপকেও ফের রাজ্য সভাপতি করা হোক।
বিজেপিতে দলের নির্দেশই শেষ কথা। ব্যক্তিগত ইচ্ছে-অনিচ্ছের কোনও জায়গা নেই। শাহ-নাড্ডারা চাইলে শুভেন্দু রাজ্য সভাপতির পদ নিতেই হবে। এখন দর কাষাকষি করে শুভেন্দু কতটা কি করতে পারেন সেটাই দেখার। শুভেন্দু রাজ্য সভাপতি হলে কাকে বিরোধী দলনেতা করা হবে সেটাও ভেবে রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তিনি হলেন শঙ্কর ঘোষ। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। যথেষ্ট সক্রিয়। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, শুভেন্দুর পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব শঙ্করই।