প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার যাঁতাকলে ভাঙ্গল সম্পর্ক! শিক্ষিকা বিয়ের জন্যে ধরনায়

আদালতে চলছে মামলা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি ( Primary Recruitment Corruption ) নিয়ে চাকরি গেছে ২৬৯ জনের। একই সঙ্গে বিপদ আছড়ে পড়তে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপর। একটি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এসবের মাঝে যে একবারে বিয়েই ভেঙে যেতে পারত, তা কেই বা জানত?
কোচবিহার ( Cooch Behar ) জেলা থেকে চাকরি যেতে চলেছে ৩২ জনের। এদের মধ্যেই একজনের সাথে ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনা। প্রেমিক সোজা বেঁকে বসেছেন বিয়ে থেকে। তবে অবশ্য তরুণীও ছাড়ার পাত্রী নন। প্রেমিক বিয়ে না করায় সোজা বসে পড়েছেন ধর্নায়, তাও আবার প্রেমিকের বাড়ির সামনে।
আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি হারানোর পথে প্রেমিকা। সেই খবর পেয়েই বিয়েতে বেঁকে বসলেন শিক্ষক প্রেমিক। কিন্তু হাল ছাড়েননি তরুণী। বিয়ে করার দাবিতে সটান প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় বসে গিয়েছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙা (Mathabhanga) মহকুমার নিশিগঞ্জে।
আরও পড়ুন- কর্মক্ষেত্রে মিলবে উচ্চতর পদ! পালন করতে হবে এই নিয়ম, একনজরে আজকের রাশিফল
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী। তাঁর দাবি, প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে নিশিগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। দু’জনেই স্কুল শিক্ষক। কিছুদিন আগেই দুই বাড়িতে বিয়ের কথা হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে ঘটেছে অঘটন। হাই কোর্ট যে শিক্ষকদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে ওই তরুণীর। তাতেই বিপত্তি। প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন প্রেমিক। এরপরই সোমবার রাত থেকে হবু বরের বাড়িতে ধরনায় বসেন ওই তরুণী।
এদিকে বেগতিক বুঝে রীতিমতো উধাও হয়ে যান নিশিগঞ্জ মহা বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক ওই যুবক। তরুণীও নাছোড়বান্দা, বিয়েতে রাজি না হলে ধরনা থেকে উঠবেন না তিনি। তবে এরই মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই যুবকের বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছে তরুণী। তরুণী জানান, সোমবার ওই যুবক তাঁকে দেখা করার জন্য ডেকেছিলেন। বিকেলের পর আচমকাই প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন- প্যান্ট খুলে খাটের উপর উদ্যম নাচ মীরের! পাঞ্জাবি সরিয়ে দেখালেন নিজের লোমশ থাই
যদিও তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেই দাবি ওই যুবকের। তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে পূর্ব পরিচিত হওয়ার কোনও বিষয় নেই। ঘটকের মাধ্যমে পাত্রী দেখার কাজ চলছিল। তরুণীর পরিবারের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ে ঠিক হয়নি। স্রেফ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ওই শিক্ষিকাকে ঘরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।”