পদ্ম চাষীদের একদিকে খুশি অন্যদিকে মন খারাপ
পুজোর আগে কি এমন হলো যার জন্য মন খারাপ প্রথম চাষিদের। জানতে চান কি হল তাদের? তাহলে একবার প্রতিবেদনটি পড়ুন।

শুভঙ্কর, বীরভূম: ‘শিশিরে শিশিরে শারদ আকাশে/ভোরের আগমনী’ এই গানগুলো শুনলেই মনটা আনন্দে মেতে ওঠে। কারণ এই গানগুলো শুনলেই মনে হয় মা আসছেন। মা আসার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। তবে মাকে বরণ করার জন্য দরকার পদ্ম ফুলের। পদ্মফুল ছাড়া যেন মাকে বরণ করা যায় না। এবার বঙ্গ থেকে বিদেশে মায়ের পাশাপাশি মায়ের আগমনের মূল উপকরণ অর্থাৎ পদ্মফুল যাচ্ছে বিদেশে। এবার বীরভূমের আহমেদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। এর জন্য একদিকে যেমন খুশি চাষিরা তেমনি আরেক দিকে মন খারাপও চাষিদের। কারণ বেশি পরিমাণ চাষ করা সম্ভব হচ্ছে না পদ্ম ফুলের। আমরা পুজোর জন্য মেতে উঠলেও আমাদের আনন্দ দেওয়ার লোকেদের খোঁজ কয়জনই বা নিই।
পূজোতে আমরা সবাই সপরিবার আনন্দে মেতে উঠি কিন্তু চাষীদের পরিবারের সকলের মুখে কি আনন্দ আছে? এ বিষয়ে এক পদ্ম চাষী দীপঙ্কর হালদার জানান, “এখানে পদ্ম চাষ করা হয়। এই পদ্ম শুধু কলকাতা শহরে নয়, গোটা ভারতবর্ষে যায়। এমনকি বিদেশেও যায়। যেখানে যেমন অর্ডার পাই, সেখানে তেমন ভাবেই পাঠাই। যেখানেই দুর্গাপূজা হয়, সেখানেই পদ্ম যায়।” আরেক পদ্ম চাষী শুভঙ্কর দাস জানান, “আমরা গর্বিত আমাদের পদ্ম শুধু ভারতবর্ষে নয় গোটা বিশ্বে যায়। যেখানে পুজো হয় সেখানেই যায়। কিন্তু আমরা দুঃখিত আমরা এর ঠিক দাম পাইনা। যখন পদ্মর আমদানি হয় তখন দাম কম থাকে আবার যখন দাম বেশি হয় তখন পদ্ম থাকেনা। ওই জন্য আমরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারিনা।”
পদ্ম চাষিরা বিভিন্ন সার, পুকুরের মধ্যে পদ্ম চাষ করে থাকেন। আর সেই জন্য সব সময় তারা চাষ করে উঠতে পারেন না। বিভিন্ন সময় ফুল তাদের নষ্ট হয়ে যায় আর এজন্য সঠিক দাম তারা পায় না।