৮০ শতাংশ পঞ্চায়েত সমিতিই শাসক দলের দখলে, লড়াই দিচ্ছে বিজেপিও
পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, ত্রিস্তরে শুধুই সবুজের দাপট।

পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক জয় পেয়েছে তৃণমূল। জেলা পরিষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, ত্রিস্তরে শুধুই সবুজের দাপট। রাজ্যের ৬৩,২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪২,৬২২টিই শাসক দলের দখলে। যা প্রায় মোট পঞ্চায়েতের ৮০ শতাংশ। একইভাবে ৯৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৭২৬৮টি তৃণমূলের দখলে, বিজেপি ১,০১০ এবং সিপিএম ১৭০ সমিতি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে।
বহুচর্চিত নন্দীগ্রাম। সেখানকার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩০। তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই ১৫টি করে আসনে জয়ী হয়। ভোটাভুটিতে ফল না হওয়ায় করা হয় লটারি। তাতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন বিজেপির শ্যামল কুমার সাহু। লটারিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের জয়ন্তী মণ্ডল।
একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেয়েও কংগ্রেসের দুই সদস্য ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকায় কালিয়াচক ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে সোমবার বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্জলী মণ্ডল। সহ সভাপতি তাঁদেরই হালিমা খাতুন। কংগ্রেসের সভাপতি পদ প্রার্থী অমূল্য মণ্ডলকে ১৩-৯ ভোটে পরাজিত করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল তৃণমূলের। সেই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির নতুন বোর্ডের সভাপতি হলেন বিজেপির নৃপেন মণ্ডল। অতীতে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট। পরবর্তীতে এখানে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বিধানসভার খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। এই পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির এক জয়ী সদস্য ও এক সদস্যা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন। তাতেই তৃণমূলের দখলে চলে আসে ওই পঞ্চায়েত সমিতি। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজেপির দখলে এসেছিল। মোট ১৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৯টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল ৬টিতে।
হুগলি খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি। ৩৩ টি আসন খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির। ১৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন পেয়ে সমিতির দখল নেয় তারা। তৃণমূল ১৫টি আসন পায়। খানাকুল ১ নং ব্লকে বিজেপি একটি পঞ্চায়েত দখল করে ও খানাকুল ২ নম্বর ব্লকে বিজেপি ৭ টি পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নেয়।
তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতি ৩৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩, সিপিএম ও তৃণমূল ন’টি করে ও কংগ্রেস দু’টি আসন পায়। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমর্থনে সভাপতি হন সিপিএমের ইমরান শেখ আর সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের উত্তম বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু ছিল।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে রানীনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতি ছিনিয়ে নিল বাম কংগ্রেস জোট । পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ টি আসনের মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোট পায় ১৪ টি আসন। এবং তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ১৩ টি । শনিবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় অংশগ্রহণ করলেন না তৃণমূল প্রার্থীরা। ০-১৪ তে জয়ী হয় জোট। পরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন কংগ্রেসের কুদ্দুস আলী। সহ-সভাপতি হলেন আরএসপির আয়েশা সিদ্দিকা।