Arpita Mukherjee: খেলনা নিয়ে খেলতে ভালবাসেন? কোটি টাকার পর অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার সেক্স টয়

চলনে-বলনে সে আধুনিকা। রূপের বাহারে প্রাণ নিতে পারে যে কারও। অবশ্যই এই প্রাণ নেওয়ার মানে প্রেমে পড়া। ইডির কথা অনুযায়ী, পার্থ-ঘনিষ্ঠ ( Partha Chatterjee ) সে। ইতিমধ্যে দু’টি ফ্ল্যাট জুড়ে মিলেছে কোটি টাকার পাহাড়। কোথাও প্রায় ২২ কোটি, কোথাও আবার ৪০ কোটি। তবে গণনা সে যাই হোক, মানুষের চক্ষু আপাতত চড়কগাছ। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া প্রতিটি জিনিসই পৌঁছে যাচ্ছে ইডির দফতরে। আর এই সোনা-গয়না, টাকার মাঝে মিলেছে একটা অন্যরকম জিনিস। নাম তার ‘সেক্স টয়’। এটা অবশ্যই ব্যাক্তিগত দ্রব্য, কিন্তু ইডির হস্তক্ষেপে সবই এখন তদন্তে সাহায্যকারী বস্তু।
ইডি সূত্রের খবর, বুধবার অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করে এই এক জোড় সেক্স টয় উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটি নাকি অর্পিতারই। কিন্তু ওই সেক্স টয়গুলি ( Toy ) কি তিনিই ব্যবহার করতেন এই নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। অন্য কারও সেই ফ্ল্যাটে যাতায়াত ছিল কি না এই নিয়েও কিছু জানা যায়নি বলেই খবর। এই সেক্স টয়গুলি কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কে কিনেছিলেন, দামই বা কত। কোনও বিষয়েই সঠিক ভাবে ধারণা পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, গতকাল ওই কোটি কোটি টাকার সঙ্গে মিলেছে একটি সোনার আংটি ও একটি হীরের আংটিও। যার গায়ে খোদাই করা রয়েছে ইংরেজীর ‘পি’ অক্ষরটি।
গত শুক্রবার থেকে উত্তেজিত রাজ্য রাজনীতি। পেঁয়াজের খোসার মতো ছাড়ালেই ইডির হাতে উঠে আসছে নয়া তথ্য। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ( SSC Recruitment Scam ) ইডির তদন্তে ক্রমে যেন বেড়ে চলেছে টাকার অঙ্কের রাশি। পেশায় নাকি মডেল অভিনেত্রী অর্পিতা। কিন্তু বিশেষ বড় বড় কাজে তাঁকে দেখা না গেলেও ভিভিআইপি নানা পার্টিতেই নাকি উপস্থিত থাকতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ( Arpita Mukhopadhyay )। ইডির ( ED ) দাবি, পার্থ-ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই বিভিন্ন মহলে তাঁর পরিচয় ছিল। কিন্ত, এই বৃহৎ অঙ্কের টাকা-গয়না উদ্ধার হয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে সেই নিয়ে যেন রয়েছে নানা দ্বন্দ্ব। এই ‘কোটি’ টাকার উৎসই বা কী? একজন ছোট মডেল অভিনেত্রী হয়ে কী করেই বা এত সম্পত্তির মালিক হতে পারেন তিনি। এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে এই নানা প্রশ্ন মাঝে কিছু উত্তর যেন আজকেই পার্থর দলই দিয়ে দিল। ছয় দিনের এই টানটান উত্তেজনার মাঝে মন্ত্রীসভা ( Ministry ) থেকে অপসারিত করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখনও বহাল রয়েছে মহাসচিব পদ। কিন্তু বিকাল ৫টার বৈঠকের পর তাও বহাল থাকবে কিনা এই নিয়েও রয়েছে নানা দ্বন্দ্ব। কিন্তু মন্ত্রীসভা থেকে এই অপসারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে ওঠা অভিযোগেই শীলমোহর। উত্তর হয় তো অজানা।