টানটান উত্তেজনা, রাত পোহালেই ফল, পুর যুদ্ধে কোন দিকে রায় বাংলার

রাজকুমার মণ্ডল :  রাত পোহালেই পুর ভোটের ( Vote ) ফল প্রকাশ, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা কমিশনের আগামীকাল সকাল আটটা থেকে শুরু হবে সদ্য সমাপ্ত ১০৮ পুরসভা নির্বাচনের গণনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সকাল সাতটার মধ্যে এসে উপস্থিত হতে হবে গণনা ( Vote )  কেন্দ্রে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা কোনওরকম অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ দায়িত্বে থাকছে পর্যাপ্ত এডিজি এসটিএফ। পুরো গননা চত্বরকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।

রাত পোহালেই ১০৮ পুরনিগমের ( Vote )  ফলপ্রকাশ। বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশ ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হচ্ছে কমান্ডো, ইএফআর, এসটিএফ। আজ থেকেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি রাখছেন সিআইডি ও আইবির অফিসাররা। নিযুক্ত করা হচ্ছে আইএএস পদমর্যাদার এক অফিসারকেও। যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বা কোনওরকম অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ দায়িত্বে থাকছেন এডিজি পদাধিকারীরা ও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯৫ লাখ মানুষ ৮ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের ( Vote )  জন্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে অবশেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। ১০৮টি পৌরসংস্থার ২,১৭১টি ওয়ার্ডে সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সহিংসতার ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে কমপক্ষে একজন সশস্ত্র পুলিশ সহ মোট 44,000 পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গননা প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, তার জন্য সজাগ পুলিশ এবং কমিশন। বুধ সকাল থেকেই ( Vote )  গননা কেন্দ্রে প্রবেশ এবং বেরোনোর পয়েন্টগুলিতে নাকা চেকিং চলছে জোরকদমে। প্রত্যেকের থেকে কোথায় যাচ্ছে, তার কারণ জানা হচ্ছে। উপযুক্ত কারণ দেখা পারলে এবং পুলিশ সেই উত্তরে সন্তুষ্ট হলে, তবেই ছাড়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোনও বহিরাগত ব্যক্তি যাতে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করতে না পারে, তাও নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ। বহিরাগতদের ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় নাকা তল্লাশিও চলছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্ট সতর্ক করে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সরাসরি কোনও নির্দেশ না দেওয়া হলেও, ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানায় আদালত। স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, অশান্তি হলে তার দায় কমিশনেরই।




Leave a Reply

Back to top button