বিজেপির অন্দরেই শেয়ানে-শেয়ানে লড়াই, সুকান্তর ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন শুভেন্দুর মুখে
গতকাল সম্পন্ন হয়েছে ১০৮টি পুরসভার পুরভোট। রাজ্যজুড়ে উঠে এসেছে নানারকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাই সপ্তাহের শুরুর দিনই ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক ( West Bengal Bandh) দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। রবিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক সন্মেলন করে সেই কথা ঘোষণাও করেন। আজ সকাল হতেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইতিমধ্যে জেলাগুলি থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও উঠে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে ( West Bengal Bandh)। এরই মধ্যে হঠাৎ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাঝ পথেই বনধ প্রত্যাহারের ডাক দিলেন।
কীসের সেই টানাপোড়েন?
নন্দীগ্রামের এক সভায় শুভেন্দু জানান, হঠাৎ ডাকা বনধে ( West Bengal Bandh) অসুবিধায় পড়েছেন অনেকেই। তাই ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আবেদন জানাচ্ছি। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘গতকাল পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা থেকে ডাকা বনধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। তাই অনুরোধ করব বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।’ তাহলে কি বিজেপির অন্দরের দন্ধ মেটেনি।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘পুর নির্বাচনের অবস্থা দেখে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে-গ্রামে দুর্গা বাহিনী তৈরি করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তিনটি পর্যায়ে। পুলিশ ও বহিরাগত দিয়ে ভোট লুঠ করলে ওরা বেরিয়ে আসার সময় ব্যালট বক্স ধরে সোজা পুকুরে ফেলে দিন। ক্ষমতার জন্য আমি লালায়িত নই, তাই আমি ভোগী নই, ত্যাগী। সেই কারণে সব ছেড়ে এসেছি। মানুষ যেদিন ক্ষমতা দেবে সেদিন আমি ঠিকই আসব।” এরপর নন্দীগ্রামের ১৪ই মার্চ প্রসঙ্গ টেনেও উক্তি করেন শুভেন্দু। ‘পুলিশ ও এসেছিল জেলায়। তারা ভোট লুঠ করেছে। আমি ওদের ছাড়ব না। প্রধান বিচারপতির কাছে কাঁথির পুরনির্বাচনকে বাতিলের দাবি করেছি।’
এরপর এদিন নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে আইসি সঙ্গে দেখা করতে চান বিজেপি নেতা। কিন্তু তিনি দেখা করেনি বলেই অভিযোগ বিজেপির। গতকাল রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনের গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে এমনই দাবি তোলে বিজেপি ( West Bengal Bandh)। এরপরই বনধের সমর্থনে জেলার মেছেদা,কোলাঘাট, তমলুক, হলদিয়া,নন্দীগ্রাম,খেজুরি সহ একাধিক জায়গায় পথে নামে বিজেপি কর্মীরা।
আরও পড়ুন- রাজ্য রাজনীতির উত্তেজনায় বলি সাধারণের, লোকাল ট্রেন আটকে সপ্তাহের প্রথমদিনই বিপদে ফেলল বিজেপি
আরও পড়ুন- National Science Day : আজ রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান দিবস, জেনে নিন এই দিনের ইতিহাস
