Amritsar Twin: ভাইরাল যমজ ভাই, বাবা – মায়ের প্রত্যাখ্যানের পর দাড়ালেন নিজের পায়ে

রাখী পোদ্দার, কলকাতা : যমজ ( Twins) ভাই বোনদের কথা তো এর আগেও আমরা শুনেছি বহুবার। কিন্তু অমৃতসরের ( Amritsar Twin) এই যমজ ভাইয়ের গল্পটা খানিকটা আলাদা যা সচরাচর দেখা যায় না। অমৃতসরের যমজ ভাই সোহনা এবং মোহনার গল্প আজকাল মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। জন্ম থেকেই শরীরে লেগে থাকার জন্য দুজনেই বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা ( Doctors)। তাদের বাবা-মাও তাদের ত্যাগ করেন। কিন্তু অমৃতসরের (Amritsar Twin) একটি এনজিও তাদের বড় করে তুলেছে। একজন পেয়েছে চাকরিও। অমৃতসরে জন্ম নেওয়া সোহনা বর্তমানে পাঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডে ( PSPCL) চাকরি পেয়েছেন। কাজের সময় সোহনার ( Sohna) সঙ্গে থাকবেন মোহনা (Mohna)। ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
Amritsar Twin : ক্যাপ্টেনের আশ্বাস
চাকরি পাওয়ার পর সোহনা জানান, পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ( Captian Amarinder Singh) চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। আবেদনপত্র আসার পর পিএসপিসিএল-এর প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির ( Charanjit Singh Channi) সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রায় ৫ মাস আলাপ-আলোচনার পর তাদের দাবি পূরণ হয়েছে এবং বিশেষ মামলায় চাকরি পান সোহনা ( Amritsar Twin)। দুই বছর কোম্পানিতে কাজ করার পর সোহনাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
Amritsar Twin : চিকিৎসকদের বক্তব্য
জন্মের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন দুজনেই বেশিদিন বাঁচবে না। কিন্তু অনেক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে আজ দুজনেই এখন প্রাপ্তবয়স্ক এবং চাকরিও পেয়েছে ( Amritsar Twin)। বুকের নিচের অংশ একে অপরের সাথে সংযুক্ত, মাথা, বুক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং মেরুদণ্ডের কর্ড আলাদা, তবে শরীরের বাকি অংশগুলি একই রকম। দুজনেই একে অপরের সাহায্যে সমস্ত কাজ করে।
আরও পড়ুন- https://thebengalichronicle.com/bankura-boy-fulfilled-dream-stand-by-for-family-by-hard-work/
Amritsar Twin : বাবা-মায়ের প্রত্যাখ্যান
২০০৩ সালের ১৪ই জুন এই যমজ ( Amritsar Twin) ভাইদের জন্ম হয় দিল্লির ( Delhi) সুচেতা কৃপলানি হাসপাতালে। মা কামিনী ও বাবা সুরজিত কুমার তাদের সঙ্গে নিতে রাজি হননি। পিতামাতার অসম্মতির পরে, অমৃতসরের (Amritsar) পিঙ্গলওয়াড়া উভয়ের লালন-পালনের দায়িত্ব নেন এবং বিবি ইন্দ্রজিৎ তাদের উভয়ের নাম দেন। দুই ভাইয়ের আলাদা আলাদা আধার কার্ডও রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিশ্বের ২ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র একটি ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
রুপ এবং গুন এই দুই দুইয়ের পরিপুরক। তাই গুনে বিবেচিত ব্যক্তি আর রুপে বিবেচিত সাধ্য। আসলে পাঞ্জাবের এই গুনি যুবকেরা দেখিয়ে দিয়েছেন শারিরিক প্রতিবন্ধকতা কিছুই নয়। সবই গুনের লক্ষন। তাই তারা কাজ করছেন নিজের জোড়ে, আসলে নিজের জোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন জীবনের কঠিন পথে।
আরও পড়ুন- https://thebengalichronicle.com/worlds-first-tsunami-is-preserved-at-kashmir/