কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ অস্থায়ী ছিল, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল অসাংবিধানিক নয়: সুপ্রিম কোর্ট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানান, এই রায় আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। এনিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশিষ্টরা তাঁদের মত রেখেছেন।

সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল নিয়ে সোমবার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়, এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত বৈধ। কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন করাতে হবে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই, এমনটাও জানানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে এই পদক্ষেপের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে তারই রায় ঘোষণা করা হল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) জানান, এই রায় আশা, অগ্রগতি এবং ঐক্যের বার্তা দেয়। এনিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশিষ্টরা তাঁদের মত রেখেছেন। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসি নেতা ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর বলেন, ‘আমি হতাশ। তবে আশাহত নই। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। বিজেপির এই জায়গায় পৌঁছতে বহু বছর সময় লেগেছে। আমরাও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে, বিচারপতি খান্না বলেন, ‘কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ অপ্রতিসম ফেডেরালিজমের উদাহরণ ছিল। তা কখনও জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্বের নির্দেশক নয়। তাই ওই অনুচ্ছেদ বাতিল কাশ্মীরের ফেডেরালিজম অক্ষুণ্ণই রেখেছে।’ বিচারপতি সঞ্জয় কলের কথায়, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রসঙ্গে তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক মত। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা সেনার কাজ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তাদের কাজ নয়। কাশ্মীরে সেনা ঢোকায় তার কঠিন মূল্য দিতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।’
তবে জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়বে না। রাজ্যের মর্যাদা দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।