Bollywood News : জিরো থেকে হিরো, আজ বলিউড কাঁপাচ্ছে এই বাঙালি তারকা

একসময় ছিল না সামান্য একটা রুটি জোগানোর টাকা। কিন্তু দেহের মধ্যে যে অভিনয়ের নেশা( Bollywood News )। সেই টানেই জীবনভর দৌড়ে বেরিয়েছেন। অবশেষে পেয়েছেন সফলতা। পৌঁছে গেছেন উন্নতির শিখরে।
Ronit bose roy- এর প্রথম জীবন
১৯৬৫ সাল। নাগপুরের একটি বাঙালি পরিবারে তাঁর জন্ম। নাম তাঁর রণিত বোস রায়। তবে অধিকাংশ দর্শকের কাছেই তিনি কে ডি পাঠক নামে পরিচিত। এই মুহূর্তে টেলি জগতের সবথেকে দামি অভিনেতা।ছোটো থেকে বড় হওয়া সমস্তটাই গুজরাটের আহমেদাবাদেই। স্কুলের পাঠ শেষ করে রণিত পড়াশোনা শুরু করেন হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে, কিন্তু মন পড়ে থাকে অভিনয়ের দিকেই।
Ronit bose roy- এর মুম্বাইতে আসা
আর এই নেশাই তাঁকে নিয়ে চলে আসে মুম্বাই শহরে। পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর বাবার বন্ধু হওয়ার সুবাদে, তাঁর বাড়ি থেকে অভিনয়ের কাজ শেখার সুযোগও মেলে। পাশপাশি পেট চালাতে মুম্বাইয়ের হোটেল সি রক-এ ট্রেনিং-এর কাজ নেন তিনি। বাসন মাজা থেকে ওয়েটর সমস্ত কাজই করেন।
Ronit bose roy- এর কাজ বলিউডে
সিনেমার জগতে তাঁর আত্মপ্রকাশ “জান তেরে নাম” চলচিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপরের বছরই প্রকাশ পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি বোম্ব ব্লাস্ট। তবে দুটি সিনেমা বাণিজ্যিক ভাবে সফলতা পেলেও, আর্থিক অনটন পিছু ছাড়েনি পর্দার কেডি পাঠকের। সেই সময় প্রায় ৬ মাস একটানা কোনো কাজ পাননি তিনি।তারপরই এক কথায় বাধ্য হয়ে বলিউড ছাড়েন তিনি। পরিবর্তে অভিনয়ের নতুন জীবন শুরু করেন বাংলা, তামিল, তেলেগু জগতে। কিন্তু এরপরও পর পর সাতটা ছবি ফ্লপ হয় তাঁর। জীবনের এক অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হাতে ছিল না ডাল রুটি খাওয়ারও টাকা। নির্ভর করতে হত বাড়ির লোকের ওপরই। অনটনের জেরে সম্মুখীন হতে হয় বিবাহ বিচ্ছেদেরও।
আশাবাদী থাকেন সবসময় Ronit bose roy
তবে আশা কখনো ছাড়েননি তিনি। জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন প্রতিদিন দেখেছেন। আর সেই থেকেই ফের একবার শুরু হয়ে যায় তাঁর মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর লড়াই। বড় পর্দাকে পিছনে ফেলে বেছে নেন ছোটো পর্দা। কামাল, কাসৌতি জিন্দেগী কে, কিউকি সাস ভি কাভি বাহু থি, একাধিক সিরিজের মাধ্যমে নিজের অভিনয় জগতে নিয়ে আসেন এক নয়া মোড়।এরপর ২০১০ সালে তাঁর আদালত ধারাবাহিক ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। এক সত্যান্বেষী আইনজীবী কে ডি পাঠকের ভুমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল এই সিরিজে। প্রাথমিকভাবে হিন্দি ভাষাতে শুরু হলেও অত্যাধিক জনপ্রিয়তার কারণে পরে একাধিক ভাষায় প্রকাশ করা হয় ওই ধারাবাহিকটি।এরপর ওই বছরই তাঁর অভিনীত ছবি উড়ান মুক্তি পায়। এই সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সহকারী অভিনেতা হিসেবে ফ্লিমফেয়ার পুরস্কার জিতে যান তিনি। পরবর্তীতে শুট আউট অ্যাট দ্যা ওয়্যাল সহ একাধিক সিনেমায় কাজ করেন তিনি।সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে টেলিভিশন ও বড়পর্দার বাইরে ওয়েবসিরিজেও কাজ করা শুরু করেছেন। সেখানেও বাজিমাত করেছে তাঁর অভিনীত ‘হস্টেজ’ ও ‘৭ কাদাম’।
Ronit bose roy-এর ব্যক্তিগত জীবন
অভিনয়ের বাইরে বেরিয়ে তিনি বর্তমান নিজেকে একজন সফল বাণিজ্যপতিতে পরিণত করেছে। ২০১২ সালে নিজের একটি বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা এস সিকিওরিটি এন্ড প্রোটেকশন এজেন্সি চালু করেন। বর্তমানে একাধিক খ্যাত নামা অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করেন।জীবনে জিরো থেকে শুরু করে আজ বলিউডের এক সফল অভিনেতার পাশাপাশি সফল ব্যবসায়ীতে পরিণত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ৯০ বছর পেরিয়েও জনপ্রিয়তা কমেনি বিন্দুমাত্র! বাঙালির নস্টালজিয়া থেকে নিত্যসঙ্গী BOROLINE