Cancer Patient : জন্মদিনেই মানবিকতার নজির, ক্যান্সার আক্রান্তকে নিজের মাথার সব চুল দিয়ে দিল এই কিশোরী

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: প্রায় দুইবছর কোভিড-১৯ করোনা ( corona ) ভাইরাস ( virus ) এর জেরে পাল্টে গেছে গোটা বিশ্বের ছবিটা। কাজ হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। চারিদিকে মানুষের মধ্যে কাজ করছে একটা আতঙ্ক ( panic )। আসছে একের পর এক নতুন নতুন করোনা ভাইরাসের ভেরিয়েন্ট ( variant )। টিভি, রেডিও, ফোনে খবর চ্যানেল খুলেই শোনা যাচ্ছে মানুষের মৃত্যুর খবর। এরইমধ্যে মুম্বাইয়ের ( Mumbai ) একটি ছোট্ট কিশোরীর ক্যান্সার আক্রান্তদের ( Cancer Patient) উদ্যোগ মন ভালো করে দিল সকলের।
Cancer Patient :ক্যান্সার বা কর্কটরোগ
কথায় আছে, ‘ শাড়িতেই নারী, আর নারীর কেশেই বেশ ‘। কে সেই লুকিয়ে থাকে নারীর সৌন্দর্য। তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম করেই নিত্য নতুন ভাবে নিজের চুলের যত্ন নিয়ে সেজে ওঠেন নারীরা। কিন্তু যখন এই কেশ বা চুল হারিয়ে যেতে শুরু করে তখনই মন ভাঙ্গতে শুরু করে নারী পুরুষ উভয়েরই। ক্যান্সার বা কর্কট ( Cancer Patient ) এমন এক মারণ রোগ যেখানে মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবে এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তিতে চিকিৎসা করা হয় ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ( Cancer Patient )। ক্যান্সার বা কর্কট রোগীর চিকিৎসার প্রধান ধাপ কেমোথেরাপি ( chemotherapy ) । আর এই কঠিন পদ্ধতির চিকিৎসার পর মানুষের শরীরের সাথে সাথে ঝরে যায় মাথার চুল। এর ফলে অনেক নারী চলে যায় ডিপ্রেশনে, একাকীত্ব করে নেয় নিজেদেরকে।
Cancer Patient : পরিবারের প্রসংশা
ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইয়ের পানভেল শহরে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নক্ষত্র সানাপ। নিজের উদ্যোগেই খুলতে চলেছে একটা এনজিও ( NGO )। যেখানে ক্যান্সার রোগীদের ব্যবহার করার জন্য দান করা চুল সংগ্রহ করা হবে। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি কিশোরীর ১৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে উদযাপন এর অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে ওই এনজিও ‘র ( NGO )। তার এই উদ্যোগকে প্রশংসিত করছেন পরিবার সহ অন্যান্য লোকেরাও।
Cancer Patient : মায়ের পরামর্শক প্রত্যাখ্যানের পর কিশোরীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ
২০১৯ সালে ওই কিশোরী নক্ষত্র সোনাপের মা রেখার ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল দান করা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তার মা কলেজের একটি মেয়ে এবং তার ১০ জন বন্ধু ক্যান্সার রোগীদের ( Cancer Patient ) চুল দান করার জন্য টাক হয়ে যাওয়ার বিষয়ে পড়েছিলেন। মূলত মায়ের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করার পরই নক্ষত্র তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। সে জানিয়েছে, ‘ মায়ের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করার পরেই আমি আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। এ বছরই ৭ জানুয়ারি আমি আবার ১২ ইঞ্চি লম্বা চুল সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর অবস্থায় প্যাক করে চেম্বারে মঙ্গল আনন্দ হাসপাতালে পাঠিয়েছি’।
Cancer Patient : সেলুনের চার্জ মুকুব
কিশোরী নক্ষত্রের তৈরি করা ওই এনজিওতে ( NGO ) পাঁচ থেকে ছয় জনের দান করা চুল ব্যবহার করা হবে। জাতীয় ক্যান্সার রোগীদের আরো ভালো চেহারার জন্য আসল চুলের পত্র তৈরি করা যায়। এ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর মেয়েটির বাবা মনোজ বলেন, ‘ তার কাজের কথা জানতে পেরে বিউটিশিয়ান সোনার শহর সেলুনের চার্জ মুকুফ করে দিয়েছেন।