Lata Mangeshkar : ‘ইয়ে হাসি রাত হো না হো’, গানের ঝুলি নিয়ে এসেছিলেন এক ভারতের মেয়ে

প্রত্যুষা সরকার, কলকাতা: চলে গেলেন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar )। মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রবিবার সকল ৮ টা নাগাদ বিভিন্ন অঙ্গ ব্যর্থতার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। আর এর সাথেই সমাপ্তি হলো একটা যুগের। ৯২ বছর বয়সেই চলে গেলেন তিনি ( Lata Mangeshkar )। জানুয়ারির শুরুতেই মুম্বাই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে ( Lata Mangeshkar )। চিকিৎসাধীন অবস্থাতে কোভিড-১৯ এবং নিউমোনিয়া পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেই নিমনিয়া ধরা পড়ে তাঁর। এর পরই তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। ২৮ জানুয়ারি তার শারীরিক উন্নতি হলে ভেন্টিলেশন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। রিপোর্ট ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও শারীরিক অবনতির কারণে তাঁকে ( Lata Mangeshkar ) ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।
Lata Mangeshkar: গানের আঁকাবাঁকা পথে সুরসম্রাজ্ঞী
২৮ সেপ্টেম্বর ১৯২৯ সালে বর্তমান ভারতের মধ্যপ্রদেশ ইন্দোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar )। ১৯৪২ সালে তাঁর পিতার অকাল মৃত্যু তাঁর কাঁধে পরিবারের জন্য জোগানের দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়। পন্ডিত দীনানাথের বন্ধু মাস্টার বিনায়ক মঙ্গেশকর পরিবারের যত্ন নেন এবং তাঁকে ‘বাডি মা’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। অভিনয় দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হলেও, পরে সংগীত এর মাধ্যমেই তিনি মন জয় করেছেন সকলের। ১৯৪৯ সালে তিনি ( Lata Mangeshkar ) বোম্বে অর্থাৎ বর্তমানে মুম্বাইয়ে চলে আসেন। যেখানে তিনি ওস্তাদ নোমান আলী খানের কাছ থেকেই হিন্দুস্তানি সংগীত শিখতে শুরু করেন।
Lata Mangeshkar: বিভিন্ন কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালকের সাথে কাজ
২৫০০০ বেশি সোলো, ডুয়েট, এবং কোরাস গেয়েছেন। ছত্র টিরও বেশি ভারতীয় ভাষায় এবং বিদেশী ভাষায় গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি ( Lata Mangeshkar ) মুম্বাইতেই তিনি মদন-মোহন, আর ডি বর্মন, লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল এবং এ.আর রহমান সহ বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালকের সাথে কাজ করেছিলেন।
Lata Mangeshkar: মদন-মোহন ও লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল
১৯৬০ সালে মদন মোহনের সাথে জুটি বেঁধে মানুষকে উপহার দিয়ে গেছেন ‘ আপ কি নাজরোনে সামঝা, লাগ যা গালে, ওহ কৌন থি এবং ন্যায়না বারসে রিমঝিম রিমঝিম ‘- এর মত কিছু বিখ্যাত গান। অন্যদিকে সংগীতপরিচালক লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারেলাল এর জন্য ৭০০ টিরও বেশি গান গেয়ে ছিলেন তিনি ( Lata Mangeshkar )। যার মধ্যে রয়েছে নাসিব থেকেই মেরে নাসিবো মে এবং আশা থেকে শিশা হো ইয়া দিল হো।
Lata Mangeshkar – আর ডি বর্মন ও এ.আর রহমান
ওই যুগের শ্রেষ্ঠ সংগীতপরিচালক আর ডি বর্মনের প্রথম গান হাজার ১৯৪২ সালে কুচ না কাহো এবং শেষ গান ১৯৯৪ সালে একটি প্রেমের গল্প গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর ( Lata Mangeshkar )। আর এই যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ.আর রহমানের সাথে তাঁর ( Lata Mangeshkar ) সহযোগিতার ফলে রঙ দে বাসন্তী (২০০৬) এবং ও পালানহারে লুকা চুপির মতো জনপ্রিয় গান হয়। লাগান (২০০১) সিনেমায় গান গুলি তৈরি হয়।
Lata Mangeshkar: ক্লাসিক
১৯৬০ সালে মুঘল-ই-আজম থেকে পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া আবার রঙ্গিলা রে থেকে প্রেম পূজারী। ওদিকে আজিব দাস্তা হে ইয়ে, দিল আপনা অর প্রীত পারাই, এমনকি দিল সে তো জিয়া জলে। বছর ধরে বহু কাল জয়ী ক্লাসিক তাঁর ( Lata Mangeshkar ) কণ্ঠ দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে লতামঙ্গেশকর এল. এম ( LM ) মিউজিক নামে তার নিজস্ব সংগীত লেবেল চালু করেন। তার সাম্প্রতিক গান ‘ সৌগন্ধ মুঝে ইস মিত্তি কি ‘ রিলিজ হয়েছিল ২০১৯ এর মার্চ মাসে। যা ময়ূরেশ রচিত, গানটি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আরও পড়ুন : Lata Mangeshkar : দেবীর বিসর্জন, লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে হতাশ মোদী-মমতা-রাহুল-কেজরিওয়াল