বিয়ের ঊর্ধ্বে নাগরিক অধিকার, সাত পাক ছেড়ে ভোট প্রদান করলেন এই নবদম্পতি

বেলা গড়িয়ে এখন সন্ধ্যা। উত্তেজনা এখন পরিণত হয়েছে নিস্তব্ধতায়। ভোট কেন্দ্রগুলিতে এখন শুধুই সামরিক বাহিনী ভারী ভারী জুতোর শব্দ কেরে নিচ্ছে সন্ধ্যার নৈশব্দ। সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে যেন এক প্রকার ( UP Assembly Election ) যুদ্ধ পরিস্থিতি। তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করার সিধান্ত গ্রহণ করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে তা পরিণত হয়েছে ব্যর্থতায়। একাধিক কেন্দ্রে দেখা গেছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি।

তবে এই উত্তেজনা, হইচই এর মধ্যেও দেখা গেছে এক অন্য উত্তরপ্রদেশ। যে উত্তরপ্রদেশের জনগণ সচেতন তার নাগরিক অধিকারকে নিয়ে। এদিন ফিরোজাবাদ বিধানসভার হনুমানগড় লক্ষ্মী কনভেন্ট স্কুলের ভোটকেন্দ্রে ( UP Assembly Election ) একজন নববিবাহিত মহিলা তার ভোট দিয়েছেন৷ শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে ভোট দেন নবদম্পতি। ফিরোজাবাদের হনুমানগড়ের বাসিন্দা জুলি, ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলার গাঁওঞ্চের বাসিন্দা কপিলের সঙ্গে বিয়ে করেন। সকালে, কিন্তু বিদায়ের আগে জুলি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এবং তারপরে তার শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়। এত আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও এ প্রকারের ঘটনা আজও বেনজির।

UP Assembly Electionএদিন আবার জালাউনে ভোট কেন্দ্রেও দেখা যায় একই রকমের ঘটনা। বিবাহ অনুষ্ঠানের সমস্ত কাজ মিটিয়েই ভোট দিতে চলে আসেন ( UP Assembly Election ) নবদম্পতি। ভোট নাগরিকের প্রধান কর্তব্য এবং সেই কর্তব্যের যথাযথ পালন করেন এই নবদম্পতি। অন্যদিকে, মাধৌগড়ের কোঞ্চ শহরের বাসিন্দা রাহুল বিয়ের পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু এই রীতি পালনের থেকেও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভোট দান। তাই তিনি সরাসরি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। এরপর তিনি নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “সব কাজে সাহায্য করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের এই উৎসবে সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।”

আরও পড়ুন…..নির্বাচনী কাঁসরে ঘুম ভাঙেনি হাথরাস পরিবারের, ভোটগ্রহণের মাঝে আসল ভারতের চিত্র

তবে গণতন্ত্রের এই উৎসব থেকে নিজেকে বিরত রাখেননি ললিতপুরের এক ( UP Assembly Election ) বাসিন্দাও। ভোট দেওয়ার উৎসাহ ও উদ্দিপনাকে সাথে নিয়ে তিনি চলে আসেন ভোট কেন্দ্রে। নিজের ভোট প্রদান করেই আবার চলে যান নিজের বিবাহ সম্পূর্ণ করতে। আবার, হামিরপুরের রথের চৌবাট্টা মহল্লার বাসিন্দা প্রজ্ঞা রাজপুত রবিবার বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি ভোট কেন্দ্রে যান এবং নিজের অধিকার প্রয়োগ করেই ফের রওনা দেন নিজের শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে।

 

 

 




Leave a Reply

Back to top button