ফের সরগরম রাজনীতি, সাত বছর ধরে নাবালিকাদের ধর্ষণের অভিযোগ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে

পাঞ্জাবে মিটেছে ভোট গ্রহণ পর্ব। আগামী ১০ই মার্চ ওই রাজ্যে প্রকাশ্যে আসবে নির্বাচনী ফলাফল। সেই নিয়েই এখন বেশ গম্ভীর আবহ তৈরি হয়েছে গোটা পাঞ্জাব ( Punjab ) জুড়ে। দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের মাঝে সংবাদমাধ্যম শুধুই তাকিয়ে বসেছিল উত্তরপ্রদেশের দিকে। কারণ রাজনীতিবিদদের মতে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পথ হয়েই যেতে হয় লোকসভা নির্বাচনের দিকে। তাই ২০২৪-এর গদির দিকে তাকাতে গিয়ে মানুষ ভুলে গিয়েছিল পাঞ্জাবের কথা। আর সেই ফাঁকে যেন একাধিক গোলমাল বেঁধে গিয়েছিল ওই রাজ্যে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের এক বেসকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগ ( Punjab ) আনা হয় তাঁর নামে। বিগত ২০ বছর ধরে নিজের একটি বিদ্যালয় চালাচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয়, যেখানে একটি শিশু জীবনের প্রথম ইটগুলি গেঁথে দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার সেই পীঠস্থানে নৃশংসতা চালাচ্ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। অল্প বয়সী মেয়েদের শ্লীলতাহানি থেকে শুরু করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
১৯০টিরও বেশি ছবি ও ভিডিওর উপর ভিত্তি করে, একজন সমাজ কর্মী ও ভীম আর্মির সদস্য তথা চলতি বছরের পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে শ্রী আনন্দপুর সাহেবের একজন ( Punjab ) প্রার্থী অশ্বিনী কুমার এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সঠিক তথ্যে উপর ভিত্তি করে পাঞ্জাব পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অশ্বিনী কুমার সূত্রে জানা যায়, বিগত সাত বছর ধরে ওই প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের ছাত্রীদের উপর ওই ভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তাকে পুলিশ পকসো মামলায় গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন…Municipal Election 2022: দার্জিলিং -এ ঝড় তুলল মাত্র তিন মাস আগে তৈরি হামরো পার্টি
উল্লেখ্য, যদি টানা সাত বছর ধরে ওই প্রধান শিক্ষক তার স্কুলের ছাত্রীদের উপর ( Punjab ) শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে গেলেও কেন কোনও নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ দায়ের করায়নি? এই প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে বেরিয়ে জানা যায়, ওই ব্যাক্তি পেশাগত দিক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক কর্মী। তিনি বহু বছর ধরেই পাঞ্জাবের শাসক দল কংগ্রেসের নেতার পদে আসীন। নিজের রাজনৈতিক ( Punjab ) ক্ষমতার মাধ্যমেই তিনি এ ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। সাধারণ মানুষ তার চরিত্র ও অসামাজিক কাজ কর্ম সম্পর্কে জানলেও পুলিশে নালিশ করার সাহস কখনওই পায়নি। নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমেই মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখত ওই ব্যাক্তি। গোটা ঘটনায় বিধানসভা নির্বাচনের পর সরগরম পাঞ্জবের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ঘটনার উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।