ছদ্ম ‘দেশপ্রেম’-এর রাম মন্দিরের আবেগেই শান, উত্তরপ্রদেশে ফের কী সাফল্যের মুখ দেখবে যোগী ব্রিগেড

উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে ছদ্ম ‘দেশপ্রেম’-এর নামে প্ররোচনামূলক প্রচার বিজেপির ( BJP )। প্রায় দুই ডজনেরও বেশি সংখ্যক ছাত্রদের (বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি এবং এলাহবাদ ইউনিভার্সিটি) কাজে লাগিয়ে সরাসরি ফোনের মাধ্যমে প্রচার বিজেপির ( BJP )। বিগত দুই নির্বাচনের থেকে ২০২২-এর নির্বাচনী প্রচার পর্বে বড়সড় পরিবর্তন আনলো বিজেপি। আরএসএসের দপ্তর থেকে সমস্ত ভোটারদের কাছে ফোন করে নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য বলছে তারা।
বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির (BSU) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র সরাসরি ভোটারদের ফোনে জানায়, তারা যেন অবশ্যই আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেন এবং ভেবে ভোট দেন। শুধু তাই নয়, নিজেদের দলের নাম ব্যবহার না করেও, ‘দেশ প্রেম’-এর নামে তারা বলে, ভোট দেওয়ার সময় ভোটারদের মনে রাখতে, যারা রাম মন্দির নির্মান করছে জনগনের ভোট তাদের যাবে নাকি যারা রামের নাম দেশ থেকে মুছে দিতে চাইছে, তাদের কাছে যাবে। যারা কাশ্মীর ভেঙে টুকরো করে দিচ্ছে, ভোট তাদের কাছে যাবে নাকি যারা কাশ্মীরের ভাঙন রুখতে চায়, তাদের কাছে যাবে। কখনও আবার কোনো রকম দলীয় নাম ব্যবহার না করেও দেশ প্রেমের নামেই তারা স্লোগান তুলেছে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘জয় শ্রী রাম’!
এদিকে যোগী আদিত্য নাথকে ( BJP )দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে উদ্যত স্বয়মসেবক সংঘ। তাদের এই স্বপ্ন পূরণের জন্য সমস্ত প্রতিকূলতাকে ছেঁটে ফেলতে জোরকদমে লেগে পড়েছে তারাও। আরএসএসের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, তাদের এই লড়াই বিজেপিকে জয়ী করতে নয় বরং যোগীগে পুণরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওযার লড়াই। এই লড়াইকে সফল করে তাদের ‘মহারাজ জী’ – কে নির্বাচিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে সমাজের অধ্যাপক, শিক্ষক, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার এবং ছাত্রছাত্রীরা। আরও এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং তিন তালাক নিষিদ্ধ করা এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোডের (UCC) দিকে অগ্রসর হওয়ার মধ্যে দিয়ে অবশেষে তার স্বপ্নের খোঁজ পেয়েছে সংঘ।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩-৭ মার্চ পর্যন্ত গোটা উত্তর প্রদেশ জুড়ে শুরু হবে নির্বাচন। আগামী ৫বছরের জন্য রাজত্ব যাবে কার হাতে, তা নিয়ে জোরদার প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি।