Iyer Idly: ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে ইডলি ব্যবসায়ী,জেনে নিন আইয়ার ইডলির জনপ্রিয়তার কারণ

রিমা শিয়ালী, কলকাতা: দক্ষিণ ভারতের খাবার ( South Indian food ) কম বেশি প্রায় সকলেরই প্রিয়।আর দক্ষিণ ভারতের খাবার দাবার এর মধ্যে অন্যতম একটি খাবার হল ইডলি ( Idli )।সকালে প্রাতঃরাশই ( breakfast ) হোক কিংবা দুপুরের ভোজ ( lunch ) সেখানকার মানুষ সর্বক্ষেত্রেই ইডলি ভীষণ পছন্দ করে।নারকেলের চাটনি ( coconut chutney ) এবং সাম্বারের সাথে ইডলি হলে প্রাতঃরাশ জমে যায়।দক্ষিণ ভারত ঘুরলে হাজার হাজার ইডলির দোকান দেখতে পাওয়া যাবে।কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের আইয়ার ইডলি ( Iyer Idly ) নিজের নরম ও সুস্বাদু ইডলি বানানোর পরম্পরার দরুন সেই এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং ১৯ বছর ধরে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পেরেছে।

কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আইয়ার ইডলি?

বর্তমানে কৃষ্ণান মহাদেবান এবং তার মা উমা মহাদেবান আইয়ার ইডলি চালালেও পূর্বে এই ব্যবসা চালু করেন কৃষ্ণান এর পিতা মহাদেবান।২০০০ সালে কৃষ্ণানের বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে তিনি একটি ব্যবসা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।প্রথম অবস্থায় আইয়ার ইডলি তে ইডলি বিক্রয় হতো না বরং ইডলি এবং ধোসার ফ্যাটানো মিশ্রণটি আশেপাশের দোকানে বিক্রি করা হত।পরবর্তীতে কিছু লোকের পরামর্শে তিনি ২০০১ সাল থেকে ব্যাঙ্গালোরের বিজ্ঞান নগরে একটি দোকান খুলে সেখানে ইডলি বিক্রয় শুরু করেন। পরে ২০০৯ সালে মহাদেবানের মৃত্যুর পর কৃষ্ণান ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে নিজের মা কে সাহায্য করতে আইয়ার ইডলিতে যোগ দেন।

“নরম ইডলি বানানো একটি কৌশল আছে”

কৃষ্ণানের মা উমা বলেছিলেন নরম ইডলি বানানোর নাকি একটা কৌশল আছে।এবং তারা প্রতিদিন একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইডলি প্রস্তুত করে।ইডলি প্রস্তুত করতে চাল পুরো এক রাত এবং উরদ ডাল দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে বাটার জন্য ভিজিয়ে রাখা হয়।ইডলির মিশ্রণটি আগের রাতে প্রস্তুত করা হয় যাতে এটি তাজা থাকে। ব্যাটারটি ইডলি ট্রেতে মসলিন কাপড় রেখে তার উপর ঢালা হয়।এরপর ১২ মিনিট ধরে একটি স্টিমারে সেটা স্টিম করা হয়।তাদের এই নরম ইডলি তৈরির প্রক্রিয়া অনেকেই জিজ্ঞেস করতে আসে তবে উমা তা প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র লজ্জা পান না। তিনি বলেন, যারা বাড়িতে নরম ইডলি তৈরি করতে চাইলে মিকচার এর পরিবর্তে শিলনোড়া ব্যবহার করাই শ্রেয়।

আরও পড়ুন: Gangubai Kathiyawadi: অল্পক্ষণের অভিনয়েও আলিয়ার থেকে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক অজয়ের, কোন বৈষম্যতায় ভুগছে বলিউড

“আমরা মেনুতে আর কিছু যোগ করি নি”

বিগত ১৯ বছর ধরে তাদের এই ইডলি ব্যবসা চলছে এবং তারা এই আইয়ার ইডলির প্রতি এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে শুধুমাত্র খাবার বিক্রির দিকেই তারা মনোনিবেশ করেছিলেন।এবং এর জন্যই তারা মেনুতে ইডলির পরিবর্তে আর কিছু যোগ করেননি। তাদের দোকানে শুধু ইডলি আর চাটনি পাওয়া যেত। প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ থেকে ১১:৩০পর্যন্ত তাদের দোকান খোলা থাকে। আজকের দিনেও কেবলমাত্র ৩০ টাকায় তিনটি ইডলি এবং তার সাথে সুস্বাদু চাটনি তারা বিক্রি করেন। কৃষ্ণান বলেন সাড়ে সাত বছর ধরেও তারা ইডলির মূল্য বাড়ায় নি। কৃষ্ণান বলেন দক্ষিণ ভারতে যেকোনো দোকানে গেলেই সুস্বাদু ইডলি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু তাদের দোকানের বৈশিষ্ট্য হল তারা দোকানের বাহ্যিক সৌন্দর্যে বিনিয়োগের বদলে প্রতিদিন সাস্থ্যকর এবং তাজা খাবার তৈরিতে মনোযোগ দেন এই কারণেই তাদের গ্রাহকরা হতাশ হন না এবং বারংবার ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: নাচবে সারা বাংলা,বাংলার মঞ্চে প্রথমবার মাধুরী দীক্ষিত




Leave a Reply

Back to top button