ভারত-জাপান বৈঠকের মাঝে বিতর্ক, নেতাজির অস্থি ফিরিয়ে আনার দাবি চন্দ্রবাবুর

গতকাল ১৪ তম ভারত-জাপান বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার পর প্রথমবারের জন্য এই দেশে সফরে আসছেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে টোকিওতে ভারত-জাপান দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। এই বৈঠকের মাধ্যমে আগামী দিনে জাপানের কাছ থেকে শিল্প বিনিয়োগে প্রস্তাব সেড়ে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে মোট ৩ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার জাপানি বিনিয়োগ পেতে চলেছে ভারত।
এছাড়াও, শুধুই যে শিল্প বিনিয়োগ এমনটা মোটেই নয়। এর পাশাপাশি থাকবে সাইবার নিরপত্তা, নগরোয়ন্নয়ন। তবে এদিন এই বৈঠককে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে উঠে আসে আরও একটি দাবি। এদিন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু টুইট করে বলেন, ‘নেতাজির অস্থিভষ্ম টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে রয়েছে এবং এখন সেটার ডিএনএ পরীক্ষা করা উচিত।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি রেনকোজি মন্দিরে উপস্থিত সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্থি ভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করানো এবং তারপর ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য। যে জমি তিনি ব্রিটিশদের দখল থেকে মুক্ত করিয়ে ছিলেন।’

প্রসঙ্গত, অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে রেনকোজি মন্দিরটি জাপানের অন্যতম বিখ্যাত পর্যটন স্থান। নেতাজির ভস্ম এই মন্দিরেই রাখা আছে বলে দাবি করা হয়। প্রতি বছর ১৪ই আগস্ট এই মন্দিরটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ৯ ডিসেম্বর ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও এই মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। এখানে আসার পরে, বাজপেয়ী লিখেছেন, “আমি আবার রেনকোজিতে আসতে পেরে আনন্দিত, যেখানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান যোদ্ধা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি সংরক্ষিত আছে।

আরও পড়ুন….তুমি শশী হে! স্মৃতির কোলাজে ম্যানারিজম কিং
তবে এই ইস্যু যে এই প্রথম উঠে এলো এমনটা মোটেই নয়। এর আগেও অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ১৯৯৯ সালে গঠি হয়েছিল মুখার্জি কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান মনোজ কুমার মুখোপাধ্যায় রেনকোজি মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং যে কাঠের বাক্সে নেতাজির অস্থিভস্ম রাখার দাবি করা হয়েছিল, তা তিনি খুলতে পারেননি। পরে একটি প্রতিবেদনের মধ্যে বলা হয় যে বাক্সের ভিতরে বাদামী কাগজের টুকরো ও চোয়ালের হাড় রয়েছে। এসব দাবির ভিত্তিতেই সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবার ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানায়। এখন পর্যন্ত তা পূরণ না হলেও, এখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভারতে আসার পর পরিবার আবার তাঁদের দাবি জোরদার করেছে।




Leave a Reply

Back to top button