মিতালি-ঝুলনদের বিদায় ঘন্টা বাজল বলে! মহিলা বিশ্বকাপে হারে শুরু কাটাছেঁড়া

রাজকুমার মণ্ডল, কলকাতা : বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ মেয়েরা। আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল ( Mithali Raj and Jhulan Goswami ) । কথা উঠেছে দলের কম্বিনেশন নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামীর দলে থাকার বিষয় নিয়েও। রমেশ পাওয়ারের প্রধান কোচ হিসেবে থাকার যোগ্যতা নিয়েও যথেষ্ঠ দ্বিমত রয়েছে। দাবী উঠেছে একজন ভালো স্থায়ী হার্ড প্রশিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। দলের মধ্যে প্রয়োজন পর্যবেক্ষণ। মেয়েরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে না পারলেও, দল ভালো খেলেছে বলে দাবি। ঝুলন গোস্বামীর ( Mithali Raj and Jhulan Goswami ) পারফরমেন্স একটি পার্থক্য তৈরি করে। তবে অবশ্যই ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর সময় এসেছে। উইংসে জুনিয়ররা অপেক্ষা করছে এবং তাদের খেলার সময় এসেছে।
ভারতীয় দলের অধিনায়ক কে হবেন, সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হ্যারি অর্থাৎ হরমনপ্রীত কৌর বা স্মৃতি মান্ধানার নাম চলে আসছে। দুই ভারতীয় ক্রিকেটার অনেকটাই এগিয়ে অধিনায়কত্বের দিক থেকে। মিতালি রাজ এবং ঝুলন গোস্বামীর ( Mithali Raj and Jhulan Goswami ) গৌরবময় ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হওয়া উচিত। অবশ্য ঝুলন আগেই জানিয়েছেন, এটাই হবে তার শেষ বিশ্বকাপ। এক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়েছে। একাদশে দুটি জায়গা ব্লক করা যাবে না। আবার গুরুত্বপূর্ণ খেলায় দুই অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে দলে রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রে মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামীর দলে থাকার বিষয়ে ধন্দ রয়েই যাচ্ছে।তরুণ খেলোয়াড়দের তৈরি করার সময় এসেছে। মিতালি এবং ঝুলনের ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য গৌরবময় প্রচেষ্টা অনবদ্য। যাত্রা কোথাও না কোথাও শেষ হতে হবে এবং তাদের সেই সময় এসে গেছে।
আরও পড়ুন অস্কার মনোনয়নে দলিত দুই নারীর গল্প, ডকু ফিল্ম ‘রাইটিং উইথ ফায়ার’
শেফালি ভার্মাদের নিয়ে দল সাজানোর সময় এসেছে। জুনিয়রদের দীর্ঘ সময় দিয়ে ভারত এ এবং ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের ট্যুর এবং সিরিজ করতে হবে। ফলে বেঞ্চ শক্তি তৈরি হবে। এনসিএকে বা ন্যাশনাল ক্রিকেট এ্যকাডেমিকে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। যেমনটি তারা পুরুষদের ক্রিকেটের জন্য করে এবং যখনই দলের প্রয়োজন হয় তখনই নতুন খেলোয়াড় সাপ্লাই দেয়।ভালো কোচিং স্টাফ প্রয়োজন। বোলিং কোচ বা ফিল্ডিং কোচ লাইন আপে আরও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন( Mithali Raj and Jhulan Goswami ) । রমেশ পাওয়ার প্রধান কোচ হিসেবে থাকলেও, তার অধীনে একজন ভালো স্থায়ী হার্ড প্রশিক্ষক দরকার। বিসিসিআই প্রচুর অর্থ মহিলাদের খেলায়ও বেশি ব্যয় করতে চায়। মহিলা আইপিএল আসতে চলেছে। বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে আরও প্রতিযোগিতা করা প্রয়োজন।