দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লা পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গ! কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ?

ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভার নিচে খোঁজ মিলল ঐতিহাসিক সুড়ঙ্গের! সুরঙ্গের দৈর্ঘ্য আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার, যা দিল্লি বিধানসভা থেকে পৌঁছে গিয়েছে লালকেল্লায়।

বহুদিন থেকেই কানাঘুষো শোনা যেত যে দিল্লি বিধানসভার থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ আছে। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি সুরঙ্গের খোঁজ। শুক্রবার দিল্লি বিধানসভার একটি ঘরে কৃত্রিম সবুজ ঘাসের কার্পেটের নিচে প্রথম সুরঙ্গের মুখটি দেখতে পাওয়া যায়। তারপর সেই কার্পেট কেটে হদীশ মেলে একটি লোহার দরজা। সেটি সরাতেই খোঁজ মেলে সুরঙ্গের।

বৃহস্পতিবার দিল্লি বিধানসভার একটি ঘরে প্রথম সুড়ঙ্গ-মুখটি দেখতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম সবুজ ঘাসের কার্পেট কেটে উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গের লোহার দরজা। সেটি সরাতেই দেখা মেলে ওই গভীর সুড়ঙ্গের।

দিল্লি বিধানসভার একটি ঘরে প্রথম সুড়ঙ্গ-মুখটি দেখতে পাওয়া যায়। কৃত্রিম সবুজ ঘাসের কার্পেট কেটে উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গের লোহার দরজা। সেটি সরাতেই দেখা মেলে ওই গভীর সুড়ঙ্গের। বৃহস্পতিবার সেই সুরঙ্গের কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল। খুব শীঘ্রই জনসাধারণকে এই সুড়ঙ্গ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এই সুড়ঙ্গ পথের হদিশ পাওয়ার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। কেন মাটির তলায় এরকম একটি গোপন পথ? কী কজে ব্যবহৃত হত এই সুড়ঙ্গ? আর এই সুড়ঙ্গ কেনই বা লালকেল্লা পর্যন্ত ? এসবের উত্তর জানতে কৌতূহলের শেষ নেই।

ইতিহাসবিদদের দাবি, আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে এই সুড়ঙ্গটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯১১ সালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে সরিয়ে আনার পর বর্তমান দিল্লি বিধানসভাকে কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করত ব্রিটিশরা। ১৯২৬ সালে যা আদালতে পরিণত করা হয়। জানা যায়, সেই সময়েই নির্মাণ করা হয়েছিল এই সুড়ঙ্গ। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আদালতে নিয়ে আসার সময় গোলমাল এড়াতে এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত ব্রিটিশরা। সুড়ঙ্গ পথে বন্দীর পালানোরও সুযোগ থাকত না।

এই বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ রামনিবাস গোয়েল বলেন, সুড়ঙ্গপথটিকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মারক হিসেবে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে এই সুড়ঙ্গ আর খনন করা হবে না। খনন করলে মেট্রো রেলের মতো নির্মাণ কাজের জন্য সেটা রুদ্ধ হয়ে যেতে পারে।’ এটির সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান রামনিবাস। আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।




Back to top button