করোনা টিকার ডাবল ডোজেও সংক্রমণ! কেন হচ্ছে? নিস্তার কোন পথে?
গোটা দেশে করোনা (Covid-19) মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রতিদিনই চলছে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণের (Vaccination) কাজ। ইতিমধ্যেই ১০ কোটিরও বেশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। টিকাকেন্দ্র থেকে বহু মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। অনেকেই আবার দুটি ডোজ কমপ্লিট করে ফেলেছেন। কিন্তু ইদানিং পুনরায় সংক্রমণের খবর মিলছে চারিদিক থেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ভ্যাকসিন নেবার পরেও কেন হচ্ছে এই সংক্রমণ? কিভাবে বাঁচা যেতে পারে এই পুনঃ সংক্রমণের (Breakthrough Infection) থেকে? এই নিয়েই জেনে নেব বিশদে।
কি এই পুনঃ সংক্রমণ?
সাধারণত করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য টিকাকরণ করা হচ্ছে। কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি টিকা নেবার পরেও সংক্রমিত হয়ে পরে তাহলে সেটা পুনঃ সংক্রমণের পর্যায় পড়বে। ইতিমধ্যেই এই ধরণের বেশ কিছু ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে ভারতে।
ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির থেকে পুনঃ সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটা?
সাধারণত যারা ভ্যাকসিন নেননি তারাই সংক্রমণ ছড়িয়ে দেবার জন্য দায়ী। তবে অনেক সময় যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। তাই ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির থেকে পুনঃ সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থেকেই যাচ্ছে।
ভ্যাকসিন নেওয়া লোকেদের মাঝে কি মাস্ক ছাড়া থাকা নিরাপদ?
প্রথমত মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংক্রমণ রুখতে, তাই মাস্ক অবশ্য পরে থাকা উচিত। তবে যদি কোনো জায়গায় ভ্যাকসিন নেওয়া লোকেরা থেকে সেক্ষেত্রে মাস্ক না পরে থাকাটা নিরাপদ বা বিপদজনক উভয়ই হতে পারে।
ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তি কি মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতে পারেন?
ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলে সংক্রমণের ভয় অনেকটাই কমে যায়। সেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াতেই পারেন। কিন্তু মাস্ক ছাড়া ভিড় এলাকায় ঘুরে বেড়ালে বাইরে থেকে সংক্রমণ বয়ে নিয়ে আসার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। তাই মাস্ক পরে বেরোনো সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি ভালো পদক্ষেপ।
কর্মস্থলে কাজে যোগ দেওয়াটা কি নিরাপদ?
মাঝে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। আর স্বাভাবিক জীবনের সাথেই ফিরছে কাজের চাপ। ফলে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে অনেককেই। সেক্ষেত্রে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকছে যে কাজে যাওয়াটা কি আদৌ নিরাপদ! এক্ষত্রে বলা যেতে পারে আপনার কাজের পরিবেশের ওপরেই সেটা নির্ভর করছে। তবে যদি কাজে যেতেই হয় তাহলে অবশ্য ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা উচিত।
ভ্যাকসিন না নিয়ে কি পড়ুয়াদের জন্য স্কুল কলেজ চালু করে দেওয়া যেতে পারে?
এর উত্তরে বলা যায় যে ১২ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের টিকাকরণ কতটা করা যাবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তাই যারা অপেক্ষাকৃত প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের যদি টিকা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ববিধি পালন করে স্কুল কলেজ খোলা যেতে পারে। তবে ছোটদের ক্ষেত্রে এখন সেটা করা উচিত হবে না।
ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে না নেওয়া ব্যক্তির সাথে মাস্ক ছাড়া থাকাটা কি নিরাপদ?
যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কম। তাই ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তির সাথে ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তবে সতর্কতা অবশ্যি মেনে চলা উচিত।
ডেল্টা ভেরিয়েন্টের থেকে নিরাপদ হতে কি ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত? সেটা কি আদৌ ফলপ্রসু হবে?
মূলত বুস্টার ডোজ সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য যারা পূর্ণ বয়স্ক হবার পাশাপাশি কোনো প্রতিস্থাপনের রুগী। বা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ লোকেদের থেকে অনেকটাই কম। এছাড়াও নতুন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভ্যাকসিন আলাদা ভাবে প্রভাব দেখতে পারে ফলে বুস্টার ডোজের ফলে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যেতেই পারে।