মেয়ে বলে কি পিছিয়ে থাকব? বোর্ড পরীক্ষায় জেলায় প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দিল কৃষক কন্যা

বাড়ির মেয়েদের দ্বারা পড়াশোনা হয় না। এমন কথা আজও এই সমাজের বুকে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতি মুহূর্তে মেয়েদের প্রতি প্রাচ্য মনোভাব ক্ষতি করছে দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোকে। তবে অবশ্য এই সব কিছুর মধ্যেই আগের তুলনায় পরিবর্তন এসেছে অনেকটা। খোলা মনে মানুষ চিন্তা করতে শুরু করেছে আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। আর এই খোলা মনে চিন্তার মধ্যে দিয়েই হয় তো বাঁচার শক্তি জোগাচ্ছে দৃষ্টির মতো কন্যারা। 

দারিদ্রতা কুরে কুরে খায় তাঁদের ছোট্ট সংসারকে। বাবা কয়েক একর জমির কৃষক মাত্র। কিন্তু এই অর্থাভাবের মাঝে বাঁধা পাবে না মেয়েক স্বপ্ন। নিজেরা হয় তো বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেনি, কিন্তু মেয়ের ক্ষেত্রে কোনও রকম কমতি রাখেননি। দৃষ্টির পড়াশোনার সকল দায়িত্ব এই অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়েও সঠিক ভাবে পালন করেন তার বাবা। উল্লেখ্য, এদিন উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের উচ্চ বিদ্যালয় ( UP Board 10th Result ) ও ইন্টার বা আন্তঃবিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল ( UP Board 12th Result ) প্রকাশ হয়। বঙ্গে নিরিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফলের মতো। রাজ্য জুড়ে এই দুই পরীক্ষায় পাশের হার যথাক্রমে ৮৮.১৮ শতাংশ ও ৮৫.৩৩ শতাংশ।

up board result

প্রকাশিত ফলাফলের মধ্যে আমরোহা জেলার ভারতমাতা ইন্টার স্কুল আপাতত শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। সেই বিদ্যালয়েরই ছাত্রী দৃষ্টি পাল। ইন্টার বা আন্তঃবিদ্যালয়ের পরীক্ষায় মোট ৮৯.৮০ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে। মনের কোণে এক বিরাট স্বপ্নকে ঠাঁই দিয়ে আপাতত জীবন যুদ্ধের প্রাথমিক ধাপগুলিকে চূড়ান্ত সাফল্যের সঙ্গে পার করতে সক্ষম হয়েছে দৃষ্টি। আগামীতে আই.ই.এস হবে বলে চোখের স্বপ্নকে রেখেছে সে। নিজেকে দেশের সেবায় নিয়োজীত করেই মন থেকে শান্তি পাবে দৃষ্টি। 

উত্তরপ্রদেশের দৃষ্টি কিংবা বঙ্গের রেণুই হয় তো আগামী দিনের ভারতীয় মহিলা। যারা শুধুই সংসার কিংবা স্বামীর পায়ের কাছে বসে থাকার জন্য জন্ম নেয়নি। তাদের উদ্দেশ্য অনেক দূরের। সমাজের আর পাঁচটা পুরুষের মতোই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোকে আরও শক্ত করার জন্যই তাদের এই যুদ্ধ।




Leave a Reply

Back to top button