করোনা টিকার জায়গায় দেওয়া হল জলাতঙ্কের টিকা, মধ্যবয়ষ্ক ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা
নিতে গিয়েছিলেন করোনার টিকা, কিন্তু বাড়ি ফিরলেন জলাতঙ্কের টিকা নিয়ে। শুনতে অবাক লাগলেও উত্তরপ্রদেশের পর এবার এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। এই অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানেতে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে থানে পুরসভার তরফে। হাসপাতালের অভিযোগের কতা স্বীকার করে জারি রা হয়েছে বিবৃতিও।
ঘটনা প্রসঙ্গে থানে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, গত সোমবার থানের কালওয়ার ব্যক্তি রাজকুমার যাদব এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিল করোনার টিকা নিতে। সেই সময় এক স্বাস্থ্যকর্মী তাঁকে কুকুর কামড়ানোর অর্থাৎ জলাতঙ্ক প্রতিরোধের প্রতিষেধক দিয়ে দেন। আর এখানেই বাড়তে শুরু করে উদ্বেগ। সূত্রের খবর, করোনা টিকার জন্য, আটকোনেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানে তিনি কোভিশিল্ডের ডোজ় নেওয়ার জন্য যে স্লিপ দেওয়া হচ্ছিল, তা সংগ্রহ করে লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু যে লাইনে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন সেখানে দেওয়া হচ্ছিল জলাতঙ্কের টিকা। কিন্তু তার নেওয়ার কথা ছিল কোভিশিল্ড।
এই প্রসঙ্গে থানে পৌর নিগমের পৌর কমিশনার সন্দীপ মালভি জানিয়েছেন, রাজকুমার টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার পর চিকিৎসক রাখি তাওড়ে তাঁকে কোনও কিছু জিজ্ঞাসা না করে, কাগজ না দেখেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়তে বলেন। গ্রহীতা ভুল করলেও টিকা দেওয়ার সময় আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। এমনটাই মত থানে পৌরসভার। এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত এক চিকিৎসক ও এক নার্সকে সাময়িক ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একমাত্র প্রধান মারণাস্ত্র যে করোনা টিকাই তা এতদিনে ভালোই বুঝে গিয়েছেন সকলে। কিন্তু টিকা নিতে গিয়ে কেন বারেবারে এই জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে সেই প্রশ্ন উঠছে। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের তিন বৃদ্ধাকে করোনা টিকার বদলে দিয়ে দেওয়া হয় জলাতঙ্কের টিকা। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় স্বাস্থ্য মহলে।