Commonwealth Games 2022: খ্যাতি ভুলিয়েছে মাটিকে! নিজের মহাগুরু অষ্টম দাসকেই চিনতে পারছেন না সোনার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি

ভারোত্তোলনে ( Weightlifting ) সোনা জিতে ঘরে ফিরেছেন অচিন্ত্য শিউলি ( Achintya Sheuli )। দেওয়ালে প্রলেপ পড়া গোটা বাড়িতে উপচে পড়েছে দেউলপুর গ্রামের বাসিন্দারা। বাড়ি থেকে শুরু করে গোটা এলাকায় এখন সাজো সাজো রব। কিন্তু এত আনন্দের মাঝেও নিজের বাড়িতে নিভৃতে অষ্টম দাস। আজ দেউলপুরের এত আনন্দের মাঝেও যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে সে। তাঁর ছাত্র যখন বিশ্ব মঞ্চে ( Commonwealth Games 2022 ) দাপিয়ে বেড়িয়েছে তখন নিজেকে অন্তরালে সরিয়ে  নিয়েছেন অচিন্ত্য শিউলির প্রথম গুরু অষ্টম দাস। 

এদিন একটি সাক্ষাৎকারে অভিমান বুকে নিয়ে তিনি বলেন, “অসম্ভব খারাপ লেগেছে। গতকাল রাত থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। এয়ারপোর্টে আর সকলের মতোই আমিও ওঁকে রিসিভ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু নামার পর থেকেই ওঁর কাছে পর্যন্ত ঘেঁষতে পারিনি। বাংলার অলিম্পিক সংস্থার কর্তারা, নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়ে ওঁর কাছ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়। ভেবেছিলাম অচিন্ত্য আমাকে খুঁজবে। কোথায় কী!” 

achintya 1

‘যখন তোমার কেউ ছিল না, তখন ছিলাম আমি! আজ তোমার সব হয়েছে পর হয়েছি আমি’-সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় এই বাক্যই যেন ঘিরে ধরেছে অষ্টম দাসকে। বাবা হারা সন্তান অচিন্ত্য। নিজের স্বপ্নকে সফল করতে গিয়ে যখন হাজার বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তখনই তাঁর জীবনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন অষ্টম দাস। আর্থিক কষ্টে জোটেনি ভাল খাবার, কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি প্রশিক্ষণ। মহাগুরু নিজের হাতে করে খাবার এনে দিয়েছে তাঁকে। কিনে দিয়েছেন জুতো। কিন্তু আজ সেই অচিন্ত্য যেন অচেনা সেই পুরানো অষ্টম দাসের কাছে। 

এত কিছু করেও দিন শেষে কী পেলেন! নিজের মুখেই জানিয়েছেন, “অবহেলা-অসম্মান আর বঞ্চনা।” সেই সময় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাকি স্বয়ং অষ্টম দাসকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও দিনের মুখ দেখেনি। বারবার জুতোর শুকতলা খুঁইয়ে মন্ত্রী মশাইয়ের কাছে দরবার করেছিলেন নিজের জন্য এক নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের, ভারোত্তোলনের ন্যূনতম পরিকাঠামো। যেখানে তিনি আর বেশ কয়েকজন জ্যোতি মাল, অচিন্ত্য শিউলিকে তুলে আনতে পারবেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস হাজির হয়েছিলেন অচিন্ত্য শিউলিকে সম্বর্ধনা জানিয়েছেন। সে বাড়িতে আসার পরই সেখানে হাজির হয় রাজ্যের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু তাঁর মাঝে কোথাও যেন হারিয়ে যান অষ্টম দাস। 




Back to top button