Indian Army: শরীরে জড়ানো তেরঙা পতাকা! স্বাধীনতার আগেই শহীদ ছেলের মৃতদেহ দেখে অজ্ঞান বাবা

“তেরি মিট্টি মে মিল যাওয়া…..” দু’দিন পেরোতেই গোটা দেশ ( Indian ) যখন মেতে উঠবে স্বাধীনতা ( Independence Day ) ৭৫ বছরের আমেজে। ঠিক তারই মাঝে  একটা নিঝুম অন্ধকার ডুবে থাকবে নিশান্তের ( Nishant Malik ) পরিবার। কেই এই নিশান্ত? হটাৎ তাঁকে নিয়েই বা এত মাথা ব্যাথা কেন? নিশান্ত মালিক। হরিয়ানার ( Haryana ) হিসার জেলার বাসিন্দা সে। সাদামাটা পরিবারের একদম সাধারণ ছেলে সে। কিন্তু সাধারণ হলেও আজ দেশের কাছে অসাধারণ সে। 

গতকাল উপত্যাকার সন্ত্রাসী হামলায় ( Terrorist Attack ) মৃত্যু হয় তাঁর। যখন গোটা দেশ নিজের কাজে ব্যস্ত, তখন দেশের সুরক্ষায় নিজের প্রাণ বলি দিতে পিছপা হয় না নিশান্ত। বাড়ির একমাত্র ছেলে সে। পরিবার ছেড়ে ১৯ বছর বয়সেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের স্বার্থে মা-বাবা ও তিন বোনকে ফেলে রেখে পাড়ি দেয় কাশ্মীর ( Jammu and Kashmir )। উদ্দম প্রাণশক্তি। ভাবেনি কোনও কথা দেশের জন্যই নিজেকে নিয়ে চলে যায় দূর ভূভাগে। 

উল্লেখ্য, এদিন শেষবারের মতো পরিবারের কাছে নিয়ে আসা হয় নিশান্তের দেহ। এখন সে অনেকটা শান্ত। কোনও এক মনের সুখে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে সে। মাথায়নি কোনও চিন্তা, বাড়ি ছাড়ার দিনের মতোই ভুলেছে পরিবারের কথা। উপত্যাকার রাজৌরী এলাকায় দেশকে বাঁচাতেই নিজের প্রাণ দিয়েছে নিশান্ত। সরকার তরফে সাম্মানিক হিসাবে শহীদকে দেওয়া হয়েছে ‘গার্ড অব ওনার’।

indian army3

কিন্তু এসবেরই মাঝে এক ঝোড়ো হাওয়া আষ্টেপিষ্টে ঘিরে ধরেছে নিশান্ত মালিকের পরিবারকে। ছেলের তেরঙা পতাকায় জড়ানো দেহ দেখে অজ্ঞান হয়েছেন বাবা-মা। শুধুই পরিবার নয়, নিশান্তের মৃত্যুতে যেন ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। এদিন শেষযাত্রা হিসাবে গ্রামের ৪ কিলোমিটার পথ ঘোরানো হয় তাঁকে। কিন্তু এই সামান্য পথ অতিক্রম করতেই নাজেহাল হয়ে যান অন্য সেনাকর্মীরা। এই টুকু পথ পার করতেই কেটে যায় ৩ ঘন্টা। স্থানীয় সরকারি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। যাত্রাপথে প্রতিটি বাড়ির ছাদ থেকে বৃষ্টির মতো নিশান্তের উপর ঝড়ে পড়ে ফুল-মালা। 

এদিন শহীদকে গার্ড অব অনারের সহিত সম্মান জানানো হয় সেনাবাহিনীর তরফে। এছাড়াও, শহীদের বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় তেরঙা পতাকা। এই দৃশ্য দেখে চোখে জল চলে  আসে গ্রামবাসীর। দু’দিন বাদ যখন গোটা দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পা দেওয়ার আমেজে উচ্ছ্বসিত থাকবে। ঠিক তখন এক নিঝুম অন্ধকারে ডুবে থাকবে নিশান্তের পরিবার। জানা গিয়েছে, নিশান্তের বাবাও নাকি সেনাবাহিনীর জওয়ান ছিলেন। কার্গিলের যুদ্ধেও তিনি দেশের হয়ে লড়াই করেছিলেন। বাবার পথেই সন্তানও রওনা দেয়। ১৯ বছরেই ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ায় কাশ্মীরের ময়দানে।




Back to top button