Congress President Election: পরিবারবাদের তির, দলে চড়ছে ক্ষোভের পারদ! অস্তিত্ব বাঁচাতেই সভাপতি পদ থেকে রাহুলের সরে আসা?

তিনি না নিজে হবেন, না মা বা বোনকে হতে দেবেন। কংগ্রেসের (Congress) অন্দরমহলে এই কথা এখন কানে কানে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের প্রধান বিরোধী দলের সভাপতিত্ব (Congress President Election) যাবে কার হাতে এই নিয়ে বেশ দ্বন্দ্বে রাজনৈতিক মহল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) নিজে ফের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে নারাজ। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও যেমন সেই গদি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ঠিক তেমনই মা ও বোনকেও সেই গদির থেকে দূরে সরিয়ে এনেছেন। 

জানা গিয়েছে, মা সনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi) নিজের শারীরিক দূবর্লতাগুলিকে উপেক্ষা করে ওই পদে থেকে যান, তা তিনি চাইছেন না। অপরদিকে, বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রার (Priyanka Gandhi Vadra) কাঁধে সেই দায়িত্ব চলে যাক, এমনটাও চাইছেন না রাহুল। তবে গান্ধী পরিবারের এহেন সিদ্ধান্তে বেশ নড়েচড়ে বসেছে দলের শীর্ষ কর্তারা। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে সোনিয়া ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তাঁর নেতৃত্বেই হেরেছে কংগ্রেস। তাই যেন এবার খানিকটা পদ থেকে বিরতির পালা। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসের দায়িত্ব প্রায় গান্ধী পরিবারের হাতেই থেকেছে। কিন্তু এবার যেন একটা অন্য সুর। রাজধানীর সাদা বাড়ির অন্দরমহলে বেজে উঠে এক নতুন গান। অ-গান্ধী নেতৃত্ব চায় খোদ গান্ধী পরিবার। 

congress president election1

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে হটাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? গত লোকসভা ভোট এবং তার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক ময়দানে লাগাতর কংগ্রেসের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলার কারণেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, বলেই ধারণা বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। তবে নেপথ্যে কি শুধু এই একটি কারণ। হয় তো না, রাজনীতি বলছে এক অন্য কথা।  স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে উঠে রাজনৈতিক সুরে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পিছপা হননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে তাঁকেও দু-এক কথা শুনতে হয়েছিল বটে। তবে নিজের ভাষণের মাধ্যমে বারবার ‘পরিবারবাদ’ নিয়ে সরব হন তিনি। 

congress president election2

শুধু নরেন্দ্র মোদী নয়, নানা সময় শাসক দল ও বিরোধী দলের কাছেই পরিবারবাদ নিয়ে বেসুরো মন্তব্য শুনতে হয়েছে গান্ধী পরিবারকে। এমনকী, এই কথা শোনানোর তালিকায় বাদ পড়েনি দলের কর্মীরাও। পরিবারবাদ নিয়ে দলের মধ্যেও বেঁধে থাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সুতরাং, এই সকল দায় থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার একটি মোক্ষম পথ হতে পারে রাহুল গান্ধীর এই সিদ্ধান্ত। 

উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের উৎসবে। পঞ্জাবের ময়দান হারিয় জাতীয় রাজনৈতিক ময়দানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে কংগ্রেস। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা ভোটে সোনিয়া ও রাহুলের নেতৃত্বে হারের পর থেকেই দলের মধ্যেও জন্ম নিয়ে ক্ষোভ। আর তার মধ্যেই দেখতে দেখতে সামনেই ২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায়, রাহুলের এহেন সিদ্ধান্ত যে খানিকটা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হতে পারে বলেই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।




Back to top button