গণপিটুনিতে ফাঁসির সাজা, গণধর্ষণে ২০ বছরের জেল, নতুন আইনের খসড়া পেশ অমিত শাহের
রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বদলে আসছে আরও কঠোর আইন।

গণধর্ষণ করলে ২০ বছরের জেল। গণপিটুনিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ফাঁসি। এমনই কঠোর আইন আনতে চলেছে মোদী সরকার। শুক্রবার লোকসভায় জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। বদলে আনা হবে আরও কঠোর আইন।
এদিন লোকসভায় অমিত শাহ জানান, একাধিক আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গণপিটুনির ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হবে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তা সাত বছর থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছরের জেলের সাজা। এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনের সময় ভোটারদের ঘুষ দিলে প্রার্থীর ১ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হবে বলে জানান শাহ।

নতুন আইনে গণপিটুনিকে খুন হিসেবেই ধরা হবে। মৃত্যুদণ্ড বা জেলের সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘পাঁচজন বা তার বেশি ব্যক্তি মিলে যদি জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় কিংবা লিঙ্গ, ভাষা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জন্য কাউকে পিটিয়ে মারে তাহলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হবে। সর্বনিম্ন ৭ বছরের জেল। তবে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করেই সাজা স্থির করবেন বিচারক।
গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ২০ বছরের জেল বা যাবজ্জীবন। নাবালিকাকে গণধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অমিত শাহ। নতুন আইনে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসি, ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড বা সিআরপিসি এবং ভারতীয় সবাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট, এই তিন আইনের পরিবর্তে নতুন তিনটি আইন আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করেন অমিত শাহ।