চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারত, ইতিহাস ইসরোর
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ০৬.০৪ মিনিট। চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান ৩। ইসরোর পর্যবেক্ষণ কক্ষে লাফিয়ে উঠলেন বিজ্ঞানীরা। ধারাভাষ্যকার তখন বলছেন, ‘সফট ল্যান্ডিং সাকসেসফুল’।

কৌশিক, কলকাতা: এ কি স্বপ্ন নাকি মায়া…!
চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারত। ইতিহাসে নাম লেখাল ইসরো। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর চোখে জল, আনন্দের।
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ০৬.০৪ মিনিট। চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান ৩। ইসরোর পর্যবেক্ষণ কক্ষে লাফিয়ে উঠলেন বিজ্ঞানীরা। ধারাভাষ্যকার তখন বলছেন, ‘সফট ল্যান্ডিং সাকসেসফুল’। চাঁদের দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করল বিক্রম ল্যান্ডার।
ইসরোতে খুশির লহড়। চেয়ারম্যান এস সোমনাথের চোখে আনন্দাশ্রু। বাইরে বাজি ফাটছে। গোটা বিষয়টা লাইভ দেখছিলেন মোদী। তিনিও চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন। হাতে ভারতের পতাকা। ছোট ছোট ছবি তৈরি হল। ইতিহাস রচনা করল মুহূর্তরা।
বিকেল থেকেই সাজো সাজো রব। লাইভ টেলিকাস্ট শুরু হয় ৫টা ২০ মিনিটে। গোটা ভারত চখ রেখেছিল টিভির পর্দায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়। মনে আশা আশঙ্কার দোলাচল। এবার হবে তো?
হল। ৬.০৪ মিনিট সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। চাঁদের মাটিতে নিজের চিহ্ন এঁকে দিল ভারত। ল্যান্ড করল বিক্রম। চাঁদে উড়ল তিরঙ্গা। মোদী বললেন, ‘ইতিহাস রচিত হল। অমৃতকালে অমৃত মুহূর্ত’।
রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রাখল। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা প্রথম দেশ ভারত।
অবতরণের পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, চাঁদমামার গল্প। ‘আয় চাঁদ টি দিয়ে যা’ বলে ছোট বাচ্চার সঙ্গে খেলা করেন মা-ঠাকুমারা। মোদী বললেন, ‘সেই চাঁদমামা এখন আমাদের সত্যি ঘরের লোক’।
এদিন মোদীকেও কিছুটা আবেগপ্রবণ শোনাল। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছেন। রয়েছেন জোহানেসবার্গে। সেখান থেকেই বললেন, ‘চোখের সামনে এ রকম ইতিহাস গড়তে দেখলে জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রজীবনের চিরঞ্জীব চেতনার রূপ পাবে। অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। আজ আমরা নতুন ভারতের নয়া উড়ানের সাক্ষী হলাম।
প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিবম ব্যর্থতা দেখেছিলেন। চন্দ্রযান ২ ছুঁতে পারেনি চাঁদের মাটি। মোদীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন শিবম। ভারতবাসীর বুকে জমে থাকা কষ্ট শিবমের চোখের জল হয়ে বেরিয়ে এসেছিল। আজ সবকিছু পুষিয়ে নেওয়ার দিন। আজ ভারতের গর্বের দিন।