চব্বিশেই কি ‘এক দেশ এক ভোট’? কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটি গড়ল মোদী সরকার, কোমর বাঁধছে বিজেপি
‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিজেপির বহুদিনের স্বপ্ন। লোকসভা, বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হবে।

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিজেপির বহুদিনের স্বপ্ন। লোকসভা, বিধানসভা ভোট এক সঙ্গে হবে। এই নিয়ে আগে একাধিক বিজেপি নেতা বিবৃতিও দিয়েছেন। এহেন প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এবার এই নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার।
শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যার মাথায় থাকছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কমিটি এই বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট দেবে। শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করতে পারে কেন্দ্র। মনে করা হচ্ছে, কমিটি গোটা দেশে একটিই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বড় কোনও প্রস্তাব দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গতকালই সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে বিল পেশ করতে পারে মোদী সরকার। অনেকে আবার বলেন, লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে, সেই নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে কেন্দ্র।
এসবের মাঝে শুক্রবার সকালে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কমিটির মাথায় আছেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব বিজেপি। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার ৩টি প্রধান সুবিধা রয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। প্রথমত, সময় বাঁচবে। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনিক কাজে অসুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাবেন। তৃতীয়ত, নির্বাচনের খরচ কমবে।
সম্প্রতি আইন কমিশনও ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির পক্ষে মত দিয়েছে। তাদের মতে, এই নীতি গ্রহণ করলে দেশে ভোটের হার বাড়বে। কারণ সাধারণ মানুষ পাঁচ বছরে একবার ভোট দিতে যাবেন। এতে উৎসাহ থাকবে।
তবে এই নীতি কার্যকর করতে হলে সংবিধানে ব্যাপক বদল করতে হবে মোদী সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, কেরল, দিল্লির মতো যে সব রাজ্যে সরকারের মেয়াদ এখনও পাঁচ বছর হয়নি, সেখানকার সরকার আগেই ভেঙে দিতে হবে। এদিকে বিরোধীরা ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছে।