পুজোর আগে মন উড়ু উড়ু? ঘুরে আসুন ‘ছত্রিশগড়ের তিব্বতে’

ছত্রিশগড়ের তিব্বতের সম্পর্কে জানলে আপনি আর ঘরে থাকতে চাইবেন না।আসলে ছত্তিশগড়ে অনেক ঘোরার স্থান রয়েছে। সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই রাজ্যে। কয়েকদিনের ছুটি কাটাতে একেবারে আদর্শ এই রাজ্য। আমরা আজ আলোচনা করছি মাইনপাটকে নিয়ে।

শুভঙ্কর,কলকাতা: পুরি কিংবা দার্জিলিংয়ের মোটামুটি সব জায়গা ঘোরা হয়ে গেছে। অফবিট কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না। ঘুরে আসুন ‘ছত্রিশগড়ের তিব্বত’ থেকে। নাম শুনে অবশ্যই বুঝতে পারছেন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন পাহাড়ের কথাই হচ্ছে। আমাদের ভারতবর্ষ ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র নিয়ে তৈরি। কোথাও পাহাড় তো কোথাও সমুদ্র আবার কোথাও বিস্তর তৃণভূমি, কোথাও বা মালভূমি। ছত্রিশগড়ের তিব্বতের সম্পর্কে জানলে আপনি আর ঘরে থাকতে চাইবেন না।

আসলে ছত্তিশগড়ে অনেক ঘোরার স্থান রয়েছে। সারাবছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই রাজ্যে। কয়েকদিনের ছুটি কাটাতে একেবারে আদর্শ এই রাজ্য। আমরা আজ আলোচনা করছি মাইনপাটকে নিয়ে। আদতে এটি একটি শৈলশহর। এই জায়গাকে ‘ছত্তিশগড়ের তিব্বত’ বলেও ডাকা হয়। ছত্রিশগড়ের রাজধানী বিলাসপুর থেকে এই শহরের দূরত্ব ২৫০ কিমি। জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়। শীতকালে তুষার পাতও হয়। এই শহর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত। বিন্ধ্য পর্বতমালার কোলে শান্ত মনোরম পরিবেশ। এই জায়গা দেখে মনে হবে প্রকৃতি অতিরিক্ত সময় নিয়ে মাতৃ যত্নে সাজিয়ে তুলেছে এই জায়গাকে। কিন্তু একে তিব্বত বলা হয় কেন? এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। জানা যায় ১৯৬২ সালের ওই সময়টাতে তিব্বত থেকে কিছু বাসিন্দা এই জায়গায় এসে বসতি স্থাপন করেন। এখানে বৌদ্ধ দেবের মঠও রয়েছে। যা পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

India,Chhattisgarh,Mainpat,mini Tibet.

এখানে আপনি ঝরনাও দেখতে পাবেন। দেখতে পাবেন টাইগার পয়েন্ট। সেখানে নাকি একসময় বাঘেরা জল খেতে আসত। গভীর জঙ্গল ভালোবাসলে আপনি সেখান থেকে হেঁটে কিছুটা গভীরে একান্ত সময় কাটাতেই পারে। নিচেই রয়েছে মছলি পয়েন্ট। নিরিবিলি পরিবেশে একা সময় কাটাতে পছন্দ করলে এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার। তাহলে এবার মনে প্রশ্ন জাগছে যাব কি করে? অম্বিকাপুর বা সুরগুজা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শৈলী শহর মাইনপাট। গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে ময়নাপাট অম্বিকাপুর-সীতাপুর রাস্তা দিয়ে তেমন যাওয়া যাবে। আবার দারিমা গ্রাম হয়েও যাওয়া যায়। যাওয়ার পথে রাস্তায় দেখতে পাবেন পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য। দেখতে দেখতে কখন পৌঁছে যাবেন ধরতেই পারবেন না।




Leave a Reply

Back to top button