শেষ হল জি-২০ বৈঠক, তবে এই বৈঠক করতে খরচ কত জানেন
এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার ফলে ভারত বিশ্ব দরবারে নিজেকে আরও মজবুত করলো বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশ্ব রাজনীতির দিক থেকে এই জি-২০ বৈঠক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে এই বৈঠক করতে ভারতের খরচ কত হলো সেই বিষয়ে কি জানা আছে?

শুভঙ্কর, নয়া দিল্লি: জি-২০-এর ইতিহাসে ভারত প্রথমবার আয়োজক দেশ হিসেবে সভাপতিত্ব করল। বিশ্বের তাবর তাবর রাষ্ট্র নেতারা উপস্থিত হয়েছেন দিল্লিতে। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই জি- ২০ বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়াও দেশগুলির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গতকাল অর্থাৎ জি-২০ বৈঠকের প্রথম দিনে দিল্লি ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এই ঘোষণাপত্রে যে প্রধান বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা হল এখন যুদ্ধের সময় নয়, প্রতিটি দেশের মধ্যে দৃঢ়তা বন্ধন আনতে হবে। উল্লেখযোগ্য ভাবে চীন এবং রাশিয়া এই ঘোষণাপত্রকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়াও আমেরিকায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে রেলপথ এবং নৌপথের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর মধ্যে যে আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে তা মোকাবিলা করার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে এই বৈঠকে। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করার ফলে ভারত বিশ্ব দরবারে নিজেকে আরও মজবুত করলো বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশ্ব রাজনীতির দিক থেকে এই জি-২০ বৈঠক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে এই বৈঠক করতে ভারতের খরচ কত হলো সেই বিষয়ে কি জানা আছে?
চলতি বছরের বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জি-২০ বৈঠকের জন্য ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। তবে সব মিলিয়ে সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেখা যাবে ৪১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে এই দুই দিনের আন্তর্জাতিক বৈঠক সম্পন্ন করতে। মাথায় হাত পড়ে গেল তাই না। এত টাকা কোথায় খরচ হল তাতে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। যেখানে এই বৈঠক হয়েছে অর্থাৎ দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’ এই কনভেশন হল তৈরি করতেই খরচা হয়েছে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা। সরকারি রেকর্ড অনুসারে, ব্যয়গুলো প্রায় বেশিরভাগ করা হয়েছে মোট ১২টি ক্ষেত্রে। তার মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, রাস্তা, ফুটপাথ, রাস্তার সাইনবোর্ড এবং আলোর রক্ষণাবেক্ষণ। এছাড়াও এনডিএমসি এবং এমসিডির মত পুরসংস্থা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্ত বিভিন্ন বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ ও জি ২০-র ব্র্যান্ডিং করতে প্রায় ৩,৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে।