কম সুদে লোন থেকে আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাস, কৃষিক্ষেত্রে যুগান্তকারী ৩ পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার
কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি ঋণ এবং শস্য বিমার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং আর্থিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষি ঋণ এবং শস্য বিমার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একদিকে যেমন চলছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা, তেমনই শুরু হল কিষাণ ঋণ পোর্টাল এবং কিষাণ ক্রেডিট কার্ড এবং ঘর ঘর অভিযান।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প বহু আগেই এনেছে কেন্দ্র। কিন্তু প্রত্যেক কৃষকের কাছে এই কার্ড এখনও পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার সেই উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার ‘ওয়েদার ইনফর্মেশন ডেটা সিস্টেম’-এর ম্যানুয়াল প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এ থেকে আগাম আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। ফলে ফসল বাঁচাতে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারবেন কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে কম সুদে ঋণ পান কৃষকরা। এই প্রকল্প পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সঙ্গে যুক্ত। কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ১.৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। সুদের হার বার্ষিক ৭ শতাংশ। তবে সময় ঋণ মেটালে সুদে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ কার্যত ৪ শতাংশ হারে সুদ পান কৃষকরা।
এদিন অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের শস্য বিমা যোজনারও ভূয়সী প্রশংসা করেন। নির্মলা বলেন, ‘এখনও ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বিমা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। প্রিমিয়ামের পরিমাণ ২৯ হাজার কোটি টাকা। বলে রাখা ভালো, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় ফসলের ক্ষতি হয়। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া থেকে শুরু করে পোকার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। এই পরিস্থিতি থেকে তাঁদেরকে বাঁচাতেই এই বিমা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার।
এদিন তিন উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, ‘২০১৪ সালের পর থেকে কৃষি এবং গ্রামীণ উদ্যোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে বাজেট ৫০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে ২৩ হাজার কোটি থেকে ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে।