আনন্দ বিহার স্টেশনে লাল জামায় কুলির বেশে রাহুল, বইলেন যাত্রীদের মালপত্র
পরনে লাল রঙের জামা। বাহুতে নম্বর প্লেট। মাথায় ট্রলি। স্টেশনের নয়া কুলি রাহুল গান্ধী। সত্যি সত্যি কুলির কাজ শুরু করলেন নাকি সোনিয়া-তনয়।

পরনে লাল রঙের জামা। বাহুতে নম্বর প্লেট। মাথায় ট্রলি। স্টেশনের নয়া কুলি রাহুল গান্ধী। সত্যি সত্যি কুলির কাজ শুরু করলেন নাকি সোনিয়া-তনয়? না, না। এদিন কুলিদের সুখ দুঃখের খোঁজ নিতে নয়া দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে গিয়েছিলেন রাহুল। কুলিরা কীভাবে মাল বয়, তা বোঝার জন্য নিজেই কুলির বেশে অবতীর্ণ হন। নেপথ্যে যেন বেজে উঠেছিল, অমিতাভের কুলি সিনেমার সেই বিখ্যাত গান, ‘সারে দুনিয়াকে বোঝ হাম উঠাতে হ্যায়…’।
জানা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল কুলিদের সংগঠন। গত মাসেই সে কথা কংগ্রেস সাংসদকে জানানো হয়। এক কথায় রাজি হয়ে যান রাহুল। সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে গিয়ে কুলিদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। খোঁজ নেন তাঁদের সুখ দুঃখের। কোথায় সমস্যা, কী করলে তাঁদের লাভ হবে, সেই নিয়ে কথা বলেন রাহুল।
স্টেশন চত্বরে মাথায় ট্রলি নিয়ে হাঁটার ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমার মনে অনেক দিন ধরেই একটি ইচ্ছা ছিল। দেশের এই সব মেহনতি ভাইদের সব ইচ্ছে পূরণ হবে’। যুব কংগ্রেসের তরফেও এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা, ‘যারা সারা বিশ্বের বোঝা বহন করে তাঁদের হৃদয়ের ভার লাঘব করতে আনন্দ বিহার স্টেশনে পৌঁছেছেন রাহুল’। এদিন স্টেশনে রাহুলের সঙ্গে সেলফিও তোলেন অনেকে।
চব্বিশের লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে রাহুল ততই সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন। হরিয়ানায় গিয়ে প্যান্ট গুটিয়ে ক্ষেতে নেমে পড়েছিলেন। চাষীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুনেছিলেন ধান। তারপর তাঁদের বাড়িতেই সেরেছিলেন মধ্যাহ্নভোজ। দিল্লিতে ফুড ডেলিভারি বয়ের বাইকে উঠে পড়েছিলেন। দেখেছিলেন কীভাবে তারা কাজ করে। আবার দোকানে ঢুকে মেকানিকের সঙ্গে বাইক মেরামতিও করতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। আসলে কংগ্রেস সাংসদ বোঝাতে চাইছেন, মোদী আদানি, আম্বানিদের মতো শিল্পপতিদের বন্ধু আর তিনি আমজনতার ঘরের লোক।