একসঙ্গে মহুয়া – শশী হাতে বিশেষ পানীয়, তরজা শুরু রাজনৈতিক মহলে
থারুর রাষ্ট্রপুঞ্জে কাজ করেছেন। মহুয়াও কাজের সূত্রে বিদেশে কাটিয়েছেন। এবার এই দুজনকে একসঙ্গে একটি ছবিতে দেখা গেল।

শুভঙ্কর, নয়া দিল্লি: নীল জামা, হাতে বিশেষ পানীয়। অন্য ছবিতে আবার সিগার নিয়ে পোজ। না কোনও অভিনেত্রী নয়। তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মিত্র। একটি ছবিতে তার সঙ্গে শশী থারুর। মহুয়া মিত্রের সঙ্গে শশী থারুরের বন্ধুত্ব অনেকেরই জানা। দুজনের মনোভাব যে মিলে যায় তা আগেই প্রমানিত। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে এই দুজনকে একসঙ্গে খুশ মেজাজে দেখা গেছে।
রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনায় নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয় সংসদে আবহাওয়া গরম করে তোলেন মহুয়া। অন্যদিকে বেশ হাসিমুখে কংগ্রেসের হয়ে দেখা যায় শশী থারুরকে। তিনি কংগ্রেসের সংসদ। দুটি ভিন্ন দলের সংসদ হলেও মহুয়া ও শশীর রাজনৈতিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতা মনোভাব মিলে যায়। এই দলে আরও কয়েকজনের সংসদ রয়েছে যারা পরস্পরের বেশ ভালো বন্ধু বলে দিল্লি মহলে পরিচিত। অন্যদিকে শশী থারুর আবার রাষ্ট্রপুঞ্জে কাজ করেছেন। মহুয়াও কাজের সূত্রে বিদেশে কাটিয়েছেন। এবার এই দুজনকে একসঙ্গে একটি ছবিতে দেখা গেল। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিশেষ পানীয় হাতের ছবিটিতে মহুয়া নিজে কমেন্ট করে লিখেছেন, “ সাদা ব্লাউজ পড়ে থাকার থেকে নীল জামা কাপড় আমার বেশি পছন্দের। বাকি অংশটুকু ক্রপ করা হয়েছে কেন”। এছাড়াও সিগার হাতে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে তার। আর সেখানেও তৃণমূলের এই সংসদ লেখেন, “ আমি ধুমপান করি না। এই জাতীয় জিনিসে আমার প্রচন্ডভাবে এলার্জি রয়েছে। এক বন্ধুর সিগার নিয়ে আমি পোজ দিচ্ছিলাম মাত্র”।
এই ছবিগুলো সামাজিক মাধ্যমের ছড়িয়ে পড়ার ফলে সাধারণ নাগরিকদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কংগ্রেসের এক সাংসদ মনে করেন আইনসভার সদস্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব জীবন রয়েছে সেখানে তারা নিজের মতো করে কাটাতে পারে। কিন্তু তার জীবনযাপনের কোন নেতিবাচক দিক সাংসদ হিসেবে তার কাজকর্মে উঠে না আসলেই হল। তার মতে শশী এবং মহুয়া দুজনই বিদেশে কাজ করেছেন। সেই দিক থেকে বিষয়টা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এটাকে নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করা হচ্ছে।