আরো চাপে মহুয়া মৈত্র! এবার লোকপালকে চিঠি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের
তদন্ত চেয়ে লোকপালকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর বক্তব্য, কবে বা কোথায় ঘুষ নিয়েছিলেন এবং কত টাকা পেয়েছিলেন, সব তথ্য তাঁর কাছে আছে।

নিউ দিল্লি: অর্থ ও উপহারের বিনিময় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংসদে সরব মামলায় চাপে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাশাপাশি বাংলসর শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও চাপে পড়েছে মহামৈত্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসায়। এবার তদন্ত চেয়ে লোকপালকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর বক্তব্য, কবে বা কোথায় ঘুষ নিয়েছিলেন এবং কত টাকা পেয়েছিলেন, সব তথ্য তাঁর কাছে আছে।
বিজেপি সাংসদ চিঠিতে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া চিঠিতে তৃণমূল সংসদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেন, “আমি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শ্রী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। উনি চিঠিতে যাবতীয় সব তথ্য তুলে ধরেছেন। কোথায়, কখন, কিভাবে মহুয়া মৈত্র ঘুষ নিয়েছেন সবকিছুর প্রমাণ দিয়েছেন উনি। ঐ চিঠিতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে তৃণমূল সাংসদ হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ভারতীয় এবং বিদেশি মুদ্রায় ঘুষ নিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।” যদিও এই বিষয় এখনো অবধি মহুয়া মৈত্রের তরফ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এই অভিযোগ প্রকাশে আসায় চাপে পড়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সহ পুরো তৃণমূল কংগ্রেস দলও। যদিও মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে তৃণমূলকে এখনো কোনো বক্তব্য পেশ করতে দেখা যায়নি। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে দল কোন মন্তব্য করবেনা।” এছাড়াও কালীঘাট সূত্রে জানা গিয়েছে যে মহুয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আশায় শাসকদল অত্যন্ত বিরক্ত। কারণ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁর লোকসভা কেন্দ্র থেকে মাঝেমধ্যেই নালিশ উঠে আসে। যদিও মহুয়া মৈত্র জানিয়েছেন তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। আরো চাপের বিষয়, তাঁর আইনজীবী এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এবার দেখার বিষয় আগামী দিনে মহুয়া মৈত্র কি তাবড় বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভুল প্রমাণ করতে পারবেন নাকি আবারো মুখ পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের।