পুজোর মরসুমে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি সিকিমের পর্যটন শিল্পে
সিকিমে পর্যটন শিল্প কর্তাদের বক্তব্য, দূর্গাপূজার মরশুমেই ১৫০ কোটি টাকা মতো ক্ষতি হয়েছে। যদি কালীপূজো ও দীপাবলিতেও একই অবস্থা থাকে, তাহলে এই সংখ্যা ২০০ কোটিও ছাড়তে পারে। সিকিমের এই দুরাবস্থার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও।

সিকিম: দুর্গাপুজোর কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর মরশুম। প্রায় মহালয়ার আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর এক আবহাওয়া। দুর্গাপূজার সময় কিছু মানুষ কলকাতায় থাকে, আবার কিছুজন পরিবার নিয়ে চলে যায় দূরে কোথাও ঘুরতে। পুজোর মরশুমে পর্যটন ব্যবসা সফলতা পায় চরম। এই সময় অজস্র মানুষেরই ভিড় জমে ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’গুলিতে। তবে এই বছর পুজোর মরশুমে ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছে সিকিমের পর্যটনক ব্যবসায়ীদের। অক্টোবর মাসে দক্ষিণ লোনাক হ্রদে জলস্ফীতি এবং হড়পা বান এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির কারণে চরম ক্ষতি হয় ব্যবসার। প্রাণের ভয়ে বহুলোকই, তাঁদের প্রিয় ‘হলিডে ডেস্টিনেশন’এর মধ্যে একটি সিকিমে পা ফেলতে চাননি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মতন।
এই সম্বন্ধে সিকিম সরকার ও পর্যটন শিল্প কর্তাদের বক্তব্য, দূর্গাপূজার মরশুমেই ১৫০ কোটি টাকা মতো ক্ষতি হয়েছে এবং যদি কালীপূজো ও দীপাবলিতেও একই অবস্থা থাকে, তাহলে এই সংখ্যা ২০০ কোটিও ছাড়তে পারে। সিকিমের এই দুরাবস্থার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও। সিকিমের পর্যটন দফতরের এক সচিব জানান, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিকিমের অর্থনীতি পর্যটনের উপরই নির্ভর করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে। তাই এখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চলছে। গত আগস্ট থেকে যে হারে বুকিংয়ের কথা শোনা যাচ্ছিলো, তাতে এই বছর দুর্গাপুজোর মরশুমে, তিন বছর বাদে, সেরা ব্যবসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাভের বদলে এখন ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
অন্যদিকে ‘ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন অব সিকিম’-এর সহ-সভাপতি চেইন ইয়াং বলেন, “একদিনের বিপর্যয় পুরো উল্টে দিল সিকিমের চেহারা। দীপাবলিতেও আমরা সেরকম লাভ করতে পারবো বলে মনে হচ্ছেনা। বুকিং একেবারে হয়নি বলবোনা, তবে খুবই কম হয়েছে। উত্তর সিকিমের অবস্থা তো বাদই দিলাম।” এছাড়াও ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “এই দুর্যোগের প্রভাব শুধু সিকিমেই পড়েনি আশেপাশের অঞ্চলেও খুব বাজেভাবে পড়েছে।”