প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ সাকেত গোখলের

রবিবার নির্বাচন কমিশনকে তিনি চিঠিও দেন। পাশাপাশি সেই চিঠিটি তিনি শেয়ার করেছেন নিজে এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

ছত্তিশগড়: অনেকদিন আগেই বেজে গিয়েছিল ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সেই রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়েছিল প্রচার করতে। গতকাল দলকে শক্তি জোগাতে ছত্তিশগড়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্গ জেলা থেকে তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। রবিবার নির্বাচন কমিশনকে তিনি চিঠিও দেন এই প্রসঙ্গে। পাশাপাশি সেই চিঠিটি তিনি শেয়ার করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

চিঠিতে লেখা, “৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দুর্গ জেলা থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা যেকোন সময়ই করা যেতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন চলাকালীন কোনও মন্ত্রী এই ধরনের ঘোষণা করতে পারেনা। এরম ঘোষণা ভোটারদের উপর অযাচিত প্রভাব ফেলতে পারে।” তিনি আরও লেখেন, “নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধির ৭-এর ক অনুযায়ী কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করার পর কোনো মন্ত্রী কোনও প্রকার আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করতে বা প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা করেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

BJP,Polls,Chhatisgarh,Narendra Modi,TMC,Saket Gokhale

উল্লেখ্য, ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচন দুই দফায় হতে চলেছে। প্রথমটি হবে ৭ই নভেম্বর এবং দ্বিতীয়টি ১৭ই নভেম্বর। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিশগড়কে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি। তেমনি কংগ্রেসের নিজের রাজত্ব বজায় রাখতে প্রচার চালিয়ে গেছে জোর কদমে। যদিও সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি দাবি করেছেন, মহাদেব বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে জড়িত আছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তিনি এই অ্যাপ থেকে ৫০৮ কোটি টাকা নিয়েছেন। যদিও এখন ওই কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। হাত শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য এজেন্সিকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছে বিজেপি। তবে শেষ হাসি কে হাসে, তা জানা যাবে ৩ ডিসেম্বর।




Leave a Reply

Back to top button