আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তি ও গুরুত্ব বৃদ্ধি ভারতের

আন্তর্জাতিক স্তরে যুদ্ধ ঘিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারত। যেহেতু ভারতের অবস্থান নিরপেক্ষ, সেই কারণে মনে করা হচ্ছে ধীরে ধীরে গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের এবং বৃদ্ধি হচ্ছে শক্তিও।

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে (International Politics) একটি সময় ছিল যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ (War) হলেই আমেরিকাকে(USA) হস্তক্ষেপ করতে দেখা যেত। এশিয়া (Asia) হোক কি ইউরোপ (Europe), সবেতেই শেষ কথা হতো আমেরিকার। তাবড় তাবড় দেশগুলি আমেরিকার আদেশ মানতে বাধ্য হত, এমনটাই মনে করতেন সেই সময়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, খোয়ে পড়ছে আমেরিকার সেই দাপট। এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্ব বেড়েছে ভারতের। রাশিয়া (Russia) বনাম ইউক্রেন (Ukraine) হোক কি ইজরায়েল (Israel) বনাম প্যালেস্টাইনের (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস (Hamas) এখন সব যুদ্ধেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারত (India)।

লম্বা সময় ধরে পশ্চিম এশিয়ায় চলছে ভয়াবহ যুদ্ধ। ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। ইসরাইলকে যুদ্ধ থামানোর অনুরোধ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমনকি গাজার হাসপাতালে হামলার নিন্দা অবধি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এই বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাবও করেছিল ভারত। পশ্চিম এশিয়া (West Asia) এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে যুদ্ধের হটস্পট (Hotspot), এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভারতে এসে নয়া দিল্লির (New Delhi) সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Foreign minister Antony Blinken) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন (Defence minister Llyod Austin)। অন্যদিকে, এই যুদ্ধকে ঘিরে ভারতের অবস্থান জানতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির (Iran PM Ibrahim Raisi) সঙ্গে ফোনে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন হস্তক্ষেপ করার এবং ক্ষমতা প্রয়োগ করার। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ় ইনাসিও লুলা ডা সিলভার সঙ্গেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে। সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, যেহেতু ভারত নিজের অবস্থান নিরপেক্ষ রেখেছে সেই কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে গুরুত্ব এবং ধীরে ধীরে বাড়ছে ভারতের শক্তি।

India,USA,War,Asia,Europe

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ২০২৩ গাজা থেকে হামাস ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়ে ৫ হাজার রকেট। এরপরই প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তারপরই শুরু হয় ইজরায়েলের পক্ষ থেকে গাজায় গ্রাউন্ড মিলিটারি অপারেশন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক হামাসের ডেরা। এই যুদ্ধকে ঘিরে উত্তাল আন্তর্জাতিক রাজনীতি। এখনো অবধি ইজরায়েলকে সমর্থন করছে ৪৪টি দেশ। অন্যদিকে হামাসকে সমর্থন করছে কয়েকটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধে দুই দেশ মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে দশ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে হামাস বন্দি করে রেখেছে দুশোর বেশি সাধারণ মানুষকে। উল্লেখ্য, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ নতুন নয়। এর আগেও দুই দেশের মধ্যে বহুবার যুদ্ধ হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই ইজরায়েলের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলি। এবার তা নিলো উগ্র রূপ।




Leave a Reply

Back to top button