কৃত্রিম রং দেওয়া মাছ! কেনার আগে দেখুন

নদীয়ালী মাছকে কার্যত রেড-অক্সাইড গুঁড়ো রং করা হয়। তবে মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এটা শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।

আজকাল ভেজাল জিনিসের অভাব নেই। দুধে ভেজাল, ফলে ভেজাল, সবজিতে ভেজাল এমনকি গুড়েও ভেজাল। তাহলে আর মাছ বাদ যায় কেন!

বাঙালি মানেই কিন্তু সকাল সকাল মাছের দোকানে ভিড় জমানো। নিজের পছন্দের মাছটি বেছে কেনা। কিন্তু সাবধান! এভাবে মাছ কিনলেও কিন্তু বিষ যাচ্ছে শরীরে। কীভাবে? মাছের স্বাভাবিক রংকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মেশানো হচ্ছে রং। বাজারে অনেকসময় গিয়ে দেখা যায়, মাছের স্বাভাবিক রং-এর জায়গায় মাছকে লাল-হলুদ বিভিন্ন রং করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘মাছ একটু রঙিন না হলে খদ্দেররা নাকি নিতে চায় না। মাছের রঙ যদি একটু ফ্যাকাসে হয়, তাহলে খরিদ্দাররা মাছ পছন্দ করে না। ফ্রেশ মনে হয় না।’

নদীয়ালী মাছকে কার্যত রেড-অক্সাইড গুঁড়ো রং করা হয়। তবে মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এটা শরীরে কোনও ক্ষতি করে না। মাছ জলে ধুয়ে ফেলার পর এই রং চলে যায়। সম্পূর্ণ ‘সুস্থ’ এই মাছ সেবন করা। এদিকে খাদ্য গবেষকদের কথায়, মাছ যতই ধোয়া হোক। রেড-অক্সাইডের মত রং মাছের এমন কিছু কিছু অংশে প্রবেশ করে। সেটা খেলে মানুষের শরীরের ভেতরেও চলে যায় যা ভয়ঙ্করভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। খাদ্য গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবারে যে রং মেশানো হয়। সেগুলো পেট্রোলিয়াম জাতীয় দ্রব্য থেকে তৈরি হয়। এই গুঁড়ো খুবই সূক্ষ্ম হওয়ার ফলে মাছের ভেতরে ঢুকে যায়। যতই জল দিয়ে পরিষ্কার করা হোক। সেগুলো সমস্তটাই বেরিয়ে যায় না। আর এগুলো বিধি সম্মতভাবে খাওয়ার জিনিস না হওয়ার ফলে এগুলোতে ভারী পদার্থ, ভারী ধাতু থাকার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে মানুষের দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি থেকে শুরু করে লিভার, কিডনি বিকল করতে পারে।’

এনিয়ে কিছু মানুষ পদক্ষেপ দাবি করছেন। তবে অভিযোগ, কলকাতা থেকে শুরু করে ছোট বড় নানা জেলায় এনিয়ে প্রশাসনের কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। এমনকি খাদ্য বিষয়ক আধিকারিকদেরও দেখা নেই বলে অভিযোগ।

বাজারে এমন মাছ চোখে পড়ছে? হাতে সময় নিয়ে, যাচাই করে তবেই কিনুন মাছ!




Leave a Reply

Back to top button