Kerala Suicide – নামেই আধুনিক হয়েছে মানুষ! কেরালায় বডিশেমিংয়ের জেরে আত্মহত্যা গৃহবধূর

সমাজের (SOCIETY) প্রথম দিকে নিয়ম ছিল মেয়েদের বিয়ে হওয়ার আগে ছেলেপক্ষ তাদের বিচার করত বাড়ির কজে পারদর্শিতা ও তাদের গায়ের রঙ (Skin Color) সহ সুঠাম গড়নের ভিত্তিতে। বিচার অনুযায়ী ছেলেটি বা ছেলেপক্ষ ঠিক করতো মেয়েটি তার বা তাঁদের পড়িবারে গৃহবধূ (Housewife) হওয়ার যোগ্য কিনা। যদিও আগের সমাজের সাথে বর্তমান সমাজের বিস্তর ফারাকের মাঝেও উঠে এলো কেরালার (KERALA) মতন রাজ্যে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনা। যা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় মুখেই আমরা “আধুনিক (Modern)”।

কেরালার পালাক্কাদ (Palakkad, Kerala) শহরে বসবাসরত এক পড়িবারের গৃহবধূ গত বৃহস্পতিবার গলায় দড়ী দিয়ে আত্মঘাতী (SUICIDE)হলেন নিজের শ্বশুরবাড়িতেই। মাত্র ১০ মাস সংসার করেছিলেন তিনি। সংসার ধর্ম আর পালন করা হলনা তাঁর। কিন্তু কি এমন হল তাঁর জীবনে যার জন্য এরকম পদক্ষেপ নিতে হল বাধ্য হল সে। সংসারের অতিরিক্ত চাপ নাকি মানসিক অবসাদ (DEPRESSION), কি কারণ তাকে ঠেলে দিলো মৃত্যুর দিকে?

পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে বিবাহিত মহিলাটির পরিবারের বয়ান সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এছাড়াও রবিবার সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে তাঁদের বয়ান সামনে এসেছে সকল কেরালাবাসির কাছে। বয়ানে মৃত মহিলার মায়ের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে তাঁদের মেয়েকে বিভিন্ন নোংরা কটূক্তি শুনতে হতো জামাইয়ের কাছ থেকে। মহিলার শরীর ছিল অতি মেদযুক্ত তাই তাঁর শরীরের গড়ন নিয়ে চলতো অশালীন মন্তব্য। জামাই বিশ্বাস করতেন মহিলা সন্তান গ্রহণ করতে পারছেন না এই ‘মেদ’ এর জন্যই।তাই মহিলাটি রোগা হওয়ার চেষ্টা করছিলো প্রাণপণে।

আত্মঘাতী মহিলার ভাই মনে করে তাঁর দিদি আত্মহত্যা করেছে জামাইবাবুর জন্যই। জামাইবাবুর করা অপমান, লাঞ্ছনা, কটূক্তি দিদিকে বাধ্য করেছে নিজেকে শেষ করতে। ইতিমধ্যেই মৃত মহিলার পড়িবার কেস ফাইল করেছে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির নামে। তল্লাশি শুরু হয়েছে। মহিলাটির বডি শ্বশুরবাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়ার সময়েও সাথে আসেনি শ্বশুরবাড়ির কেউই নিজের স্বামী ও নয়,অভিযোগ মৃতার মায়ের।

আরও পড়ুন…..Woman Assaulted- বাড়ছে মহিলা নিগ্রহ, “বৌ পেটানোর” তালিকায় পিছিয়ে পড়েনি পশ্চিমবঙ্গ

উল্লেখ্য মৃতার বডি এখন পোস্টমোটাড়মে পাঠানো হয়েছে। মাণকাড়া পুলিশ সূত্রে খবর পোশট্মোড়টশ্মেড় পর বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক অস্বীকার করেছেন। যদিও মাণকাড়া পুলিশ অফিসার (MANKARA POLICE OFFICER) জানান মহিলার বডির পাশ থেকে পাওয়া গেছে সুইসাইড নোট। যেখানে লেখা আছে “আমার মৃত্যুর জন্য কেঊ দোষী নয়”। পুলিশ হাতের লেখা খতিয়ে ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন।




Back to top button