Corona Vaccine- টিকাকরণ হয়নি, কিনতে পারবেন না মদ, নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের
সংক্রমণ(Infection) এড়াতে আজব নির্দেশিকা। গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনার(Corona) সঙ্গে যুদ্ধ ভারত। তবে টিকাকরণের(Vaccination) মাধ্যমে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই হাতের মুঠোয়। কিন্তু সুখ সইলো না বেশিক্ষণ। ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন'(Omicron)। এই পরিস্থিতি টিকাকরণই রুখতে পারে সংক্রমণ। সেই কারণে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনতে এই রকম সিধান্ত নিল তামিলনাডু সরকার। রবিবার তামিলনাডুর(Tamilnadu) স্বাস্থ্যমন্ত্রী(Health minister) এম এ সুব্রহ্মমনিয়ান(M.A.Subramanian) এব্যাপারে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জেলার কালেক্টরদের এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি এই নির্দেশ যাতে প্রত্যেকে মেনে চলে সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে।
ইতিমধ্যে, তামিলনাডুর ৭ কোটি নাগরিকের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ১২ তম মেগা টিকাকরণ কর্মসূচিতে ১৬ লক্ষ ৫ হাজার জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিককে টিকাকরণের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর তামিলনাডু সরকার। সেই উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশিকা। উল্লেখ্য, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার অনুমদিত TASMAC কাউন্টারগুলিতে মদ কিনতে গেলে লাগবে করোনা টিকার শংসাপত্র। করোনা টিকা না নেওয়া থাকলে রাজ্য সরকার অনুমদিত কাউন্টারগুলিতে মদ মিলবে না।
টিকাকরণের গতি বাড়াতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা রাজ্য জুড়েই দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যে তামিলনাডুতে টিকা পাওয়ার যোগ্য জনসংখ্যার ৭৮.৩৫ শতাংশের করোনা টিকার প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাশাপাশি, ৪৩.৮৬ শতাংশ মানুষের করোনা দুটি ডোজই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ নিয়েও বেশ উত্তেজিত রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ইতিমধ্যে রাজ্যের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন…..omicron: করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী, কিন্তু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নয়া স্ট্রেন
প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম এ সুব্রহ্মমনিয়ান সোমবার চেন্নাইয়ের মেডিক্যাল অ্যান্ড রুরাল হেলথ সার্ভিসেস(DMS)-এর ক্যাম্পাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং(genome sequencing) ল্যাব(Lab) পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের ৯৫ শতাংশ করোনা রোগীই করোনার ডেল্টা(Delta) ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্য জুড়ে এবং বিমানবন্দরগুলিতে আগের তুলনায় বাড়াতে হবে সতর্কতা। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর আরও জোর দেওয়া হবে।