PM NARENDRA MODI: জানুয়ারিতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্দেশ্য ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানুয়ারিতে বাংলা সফর করবেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে। বঙ্গীয় বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দীর্ঘ আট মাস পর তিনি বাংলায় আসবেন।রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার রাজ্যে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উপর “তৃণমূল সহিংসতার” বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ডেকেছিলেন। সেখানেই নরেন্দ্র মোদী তাঁর বাংলার সফরের কথা জানান। বিজেপি বিধায়কদের মতানুযায়ী দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর স্মরণে ২০২১ সালের মার্চ মাসে শুরু হওয়া ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে মোদির বাংলা সফরের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃNarendra Modi blunders- এক দশকে সেরা ১০টি ভুল মোদী সরকারের
বিজেপি প্রতিনিধিদল ২৩শে জানুয়ারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে তার সফরের সময় দেওয়ার জন্য মোদীকে অনুরোধ করেছিল। বিজেপি একটি শক্তিশালী এবং স্বনির্ভর ভারত গড়ার উদ্দেশ্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি বিশেষ কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে যাতে আগামীদিনে দল সেই উদ্দ্যেশকে ফোকাস করে নিজের লক্ষ্যে এগোয়। ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর অধীনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প দেশে চলমান এই মুহূর্তে। বিরোধীরা যখন দুই বছর আগে সংসদে পাশ করা আইন বাতিলের দাবি জানাতে শুরু করেছে তখন বিজেপি প্রতিনিধিদলও প্রধানমন্ত্রীকে সিএএ বিধি প্রণয়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে। সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে শুক্রবার বাংলার পরিস্থিতি বর্ণনা করেন এবং বিজেপি কর্মীদের উপর অব্যাহত অত্যাচার সম্পর্কে জানান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন,”নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় হত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে গোয়েন্দা তদন্তের কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও বাংলায় সহিংসতা বন্ধ হয়নি।”
উল্লেখ্য সুকান্ত মজুমদার বাংলায় উদ্বাস্তুদের দুর্দশার দিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে সিএএ বিধি প্রণয়ন ত্বরান্বিত করার আহবান জানিয়েছেন যাতে আইনটি রাজ্যে অতি দ্রুত কার্যকর করা যায়। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রতিবেশী বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা মানুষদের দেশের নাগরিকত্ব প্রয়োজন”।এই দাবিটির সুফলাফল হিসাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁর মতুয়া বেল্ট এবং উত্তরবঙ্গের কিছু অংশে আসন জিততে সাহায্য করেছিল। বিজেপি প্রতিনিধিদল পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি কর্মীদের কথিত নিয়োগ কেলেঙ্কারি সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছিল । তিনি আরও বলেন “এসএসসি নিয়োগের বিষয়ে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি যে আদালত শীঘ্রই তা প্রত্যাহার করবে,” ।