Crore Rupee Job: সরকারি স্কুলে পড়েই কোটি টাকার চাকরি, গর্বে মা-বাবার বুক ভরাল গ্রামের ছেলে

করোনা আবহে একের পর এক কর্মহারা ব্যক্তির আর্তনাদে স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি, এমনকি বেকারত্বের জেরে বহু মানুষের আত্মহত্যার সাক্ষী পর্যন্ত হয়েছে দেশ। ভারতবর্ষের মতন একটি গরীব দেশে কর্মসংস্থান একটি প্রধান সমস্যা। তার মধ্যে আবার মহামারী করোনার প্রকোপ। এরই মাঝে এক বা দুই লক্ষ নয়, একেবারে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার বার্ষিক বেতনের চাকরি পেয়ে নজির গড়লো পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক সাধারণ গ্রামের যুবক।

চলতি বছরে আইআইটি খড়্গপুরের ক্যাম্পাস থেকে মোট সাতজন পড়ুয়া পেয়েছেন এই ১ কোটি ২০ লক্ষ বেতনের চাকরি। এই খবর সামনে আসতেই খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে আইআইটি খড়্গপুরের ক্যাম্পাসে। এই সাতজন ছাত্রের মধ্যে অন্যতম একটি নাম হল শেখ ইজাজুর রহমান (Sk Izajur Rahaman)। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভোগপুরের খন্ডখোলা অঞ্চলের চাকদহ গ্রামের বাসিন্দা ইজাজুর। বাবা শেখ ওয়াসেফউর রহমান (Sk Wasafur Rahaman) কামিনাচক হরিচরণ এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ইজাজুরের মা একজন গৃহবধূ। মাত্র ২২ বছরের ইজাজুর সফটওয়্যার ডেভেলপার (Sofware Devoloper) পদে চাকরি পেয়েছেন। আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাসের (IIT Kharagpur Campus) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (Electronics And Communication Engineering) ডুয়াল ডিগ্রী কোর্সের (Dual Degree Course) অন্তিম বর্ষের (Final Year) ছাত্র ইজাজুর রহমান।

স্বপ্নপূরণের খবর,আইআইটি খড়্গপুর ক্যাম্পাসের খবর,দেশের কর্মসংস্থানের খবর,প্রতিভাবান ছাত্রের খবর,এক কোটি টাকার চাকরি পাওয়ার খবর,News of fulfillment of dreams,news of IIT Khargpur campus,news of employment in the country,news of talented students,news of getting a job worth one crore rupees

ছোটোবেলা থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহী ইজাজুর চাঁইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করার পর, দেড়িয়াচক শ্রী অরবিন্দ বিদ্যা মঠ হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণী অবধি পড়াশুনা করে। এরপর তমলুক হ্যামিল্টন হাই স্কুল (Tamluk Hamilton High School) থেকে ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পাশ করে ওই বছরই জয়েন্ট এন্ট্রান্স (JEE) ক্র্যাক করে ভারতের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম আইআইটি খড়গপুরে পড়ার সুযোগ পান। ছেলের এই সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা মা-বাবা দুজনেই। ছেলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, “ছোট থেকেই ছেলে পড়াশুনায় খুব ভালো, পড়াশুনা নিয়েই থাকত সারাদিন। কোন দিন ওকে কোনকিছুতে বাধাও দিইনি, আবার জোরও করিনি। কোনদিন এতো ভালো বেতনের চাকরি পাবে, আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। ছেলের সাফল্যে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত।”

আরও পড়ুনঃ মা বেচতে চুরি, ভাই চালাতো রিকশা, অভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েও ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে গর্বে ভরালো বোন

স্বপ্নকে একেবারে হাতের মুঠোয় ছুঁতে পেরেও বাস্তবকে ভুলে যায়নি ইজাজুর। এর আগেও চাকরির সুযোগ পেয়েছিলেন গুগল ডাইওয়ান থেকে, কিন্ত আরো ভালো কিছুর অপেক্ষায় আত্মবিশ্বাস ও অদম্য জেদকে আঁকড়ে ধরে পড়াশোনা চালিয়ে গেছিলো ইজাজুর। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি। নিজের এই স্বপ্নপূরণ প্রসঙ্গে ইজাজুর বলে, “ভালো একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করার ইচ্ছা থাকলেও, এতোটা পাব আশা করিনি। গুগল (Google),মাইক্রোসফট(Microsoft) এসব কোম্পানিতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, গুগল ডাইওয়ান থেকে অফার পেয়েছিলাম। তবে তারপরও ভালো কিছুর জন্য চেষ্টা করছিলাম। আর এটা পেয়েও গেলাম। হতাশ হলে চলবে না, IIT-তে পড়া মানেই কোটি টাকার চাকরি নয়, এটা মনে রাখতে হবে’। ইজাজুরের এই স্বপ্নপূরণ শুধুই তার একার জয় না, সমাজের ‘স্মল টাউন বয়/গার্ল’ ট্যাবুর (Taboo) বিরুদ্ধেও যুবসমাজের এক বিরাট সা




Back to top button