Ramanujan Prize: চতুর্থ ভারতীয় হিসাবে ‘রামানুজন’ পুরস্কার জিতেছেন আইএসআইয়ের অধ্যাপিকা নীনা গুপ্তা

ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সেনানায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুশোকে আচ্ছন্ন দেশবাসী দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুর থেকেই একের পর এক গর্বের মুহুর্তের সাক্ষী হয়ে থাকছেন। কখনও রূপে, কখনও গুণে, কখনও আবার বুদ্ধিমত্তায়, দেশের মেয়েরা একে একে নিজেদের ‘দশভুজা’ প্রমাণ করে চলেছেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে। এবার এক ভারতীয় নারীর হাত ধরেই সেরার শিরোপা উঠে এল ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট (Indian Statistical Institute) -এর মাথায়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ও গণিতবিদ নীনা গুপ্তার কারণেই রামানুজন পুরস্কার পেল ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট।
অত্যন্ত সম্মানীয় ‘রামানুজন প্রাইজ ফর ইয়ং ম্যাথামেটিশিয়ান’ (Ramanujan Prize for Young Mathematicians) পুরস্কার জিতে নিলেন গণিতবিদ নীনা গুপ্ত (Neena Gupta)। তিনিই চতুর্থ ভারতীয় যাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হল। অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি অ্যান্ড কমিউনিটেটিভ অ্যালজেব্রা (Algebraic Geometry and commutative algebra) নিয়ে গবেষণা করছিলেন নীনা এবং সেই কাজের জন্যই এই স্বনামধন্য পুরস্কার অর্জন করেন আইসিআই এর অধ্যাপিকা নীনা। তবে আইসিআই এর ক্ষেত্রে এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও যেই তিনজন ভারতীয় এই পুরস্কার জিতেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দুজনও আইএসআই-এরই অধ্যাপক ছিলেন। মূলত ৪৫ বছরের কমবয়সী গণিতবিদ, যাঁরা নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতায় গণিতকে এক নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছেন, সেই সকল গণিতবিদদের সম্মানিত করতেই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
আবদাস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিয়োরটিক্যাল ফিজিক্স (Abdus Salam International Centre for Theoretical Physics), ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অফ ইন্ডিয়া (Department of Science and Technology) এবং ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথামেটিক্যাল ইউনিয়ন (International Mathemetical Union) এই তিনটি সংস্থা মিলে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রথমসারির গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি করা হয় এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিচারক আসন। সেই বিচারকমণ্ডলী থেকেই এই পুরস্কারের জন্য নীনার নাম চূড়ান্ত করা হয়। বরানগরের বাসিন্দা নীনা প্রথম জীবনে পড়াশোনা করেছেন বরানগরের ডানলপ অঞ্চলের খালসা হাই স্কুল থেকে। পরবর্তীতে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে অঙ্কে স্নাতক এবং আইএসআই থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি অর্জন করেন নীনা। পিএইচডি শেষ করে আইএসআই-তবেই অধ্যাপনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন নীনা।
আরও পড়ুন…..West Bengal- ফের একবার সেরার মুকুট বাংলার মাথায়, বিরল গবেষণায় জাতীয় খেতাব পেলেন কল্যাণীর অধ্যাপক
২০১৯ সালে তাঁর গণিত বিষয়ে গবেষণামূলক কাজের জন্য শান্তি স্বরূপ ভাটনগর প্রাইজ ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ShantiSwarup Bhatnagar Prize for Science and Technology) পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় নীনাকে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স একাডেমি (Indian National Science Academy)-র পক্ষ থেকে ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড (Young Scientist Award) জেতে তিনি। তবে এতকিছুর পরেই অধ্যাপিকা নীনা জানান, অঙ্কের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার ফিল্ডস মেডেল অধরাই থেকে গেছে তাঁর। ৩৭ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে ঐ পুরস্কার আর পাবেন না তিনি। তবে তিনি রাখেন যে তাঁর জীবনকালেই কোনো না কোনো ভারতীয়র হাতে নিশ্চয়ই উঠবে এই পুরস্কার।