Corona Update: নতুন বছরে সংক্রমণ বাড়লো তিনগুণ, তবু বর্ষবরণের আনন্দে বিশ্ববাসী

পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের গ্রাফ বেড়ে চলেছে ক্রমেই। লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তিনদিনেই দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে তিনগুণ! স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ১২৮। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৯ জন। যা সপ্তাহের শুরুতে সোমবার ছিল ৪৩৯ জন।

বর্ষবরণের এই সময়ে করোনা কে গুরুত্ব না দিয়েই চলছে বর্ষবরণ। সিডনি থেকে টোকিও, দীঘা থেকে কলকাতা সবজায়গায় চলছে বর্ষবরণ। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু এত জমায়েতের ফল স্বরূপ আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এমনি ওমিক্রনে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে প্রতিদিনই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের উদয়পুরে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩০৯ জন নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।এই নিয়ে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হল ১ হাজার ২৭০ জন।” দিল্লি এবং মুম্বাই সর্বাধিক রোগের প্রকোপ বেড়েছে। সাথে অন্যান্য শহরগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যথাক্রমে গুজরাটের আহমেদাবাদ, রাজকোট এবং সুরাটে গত দুই সপ্তাহে হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কেরলে ৪৪ জন এবং কর্ণাটকে ২৩ জন, শুক্রবার নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন।

কোভিডের খবর,করোনার খবর,কলকাতায় করোনার খবর,পশ্চিমবঙ্গে করোনার খবর,দৈনিক করোনা সংক্রমণ,কলকাতায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ,মুখ্যমন্ত্রী কি বললেন করোনা নিয়ে,করোনার জন্য নাইট কারফিউ,ওমিক্রন কি,ওমিক্রনে আক্রান্ত কতজন,ওমিক্রনের উৎপত্তি,বাংলা খবর,Covid's News,Corona News,Corona News in Kolkata,Corona News in West Bengal,Daily Corona update,Daily Corona update in Kolkata,What the Chief Minister said about Corona,Night Curfew for Corona,What is Omicron,Bengali News

কেন্দ্র জানিয়েছে,ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু আরবান, হরিয়ানার গুরগাঁও, তামিলনাড়ুর চেন্নাই, মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, মুম্বাই শহরতলির, পুনে, থানে এবং নাগপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাও একই সময়ে হঠাৎ করে রোগের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সংক্রমনের বৃদ্ধির খবর এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে – তারা বলেছে “পরীক্ষাগুলি যাচাই করুন, যোগাযোগের সন্ধান করুন, নেগেটিভ পরীক্ষা করা লোকদের যথাযথ বিচ্ছিন্নতা বা পৃথকীকরণ নিশ্চিত করুন এবং টিকাকরণের গতি বাড়ানো হোক।”

অন্যদিকে এটি কন্টেনমেন্ট জোন এবং বাফার জোন স্থাপন এবং যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতাল এবং কোভিড কেন্দ্রগুলিকে প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ডেটা দেখিয়েছে যে এই সময়ে কোভিডের গড় দৈনিক বৃদ্ধি মার্চ-এপ্রিলের দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ দ্রুত। সাত দিনের চলমান গড় দেখায় কোভিড কেসগুলি ৫৬ থেকে ১৯৯ এ বেড়েছে। আজকের পরিসংখ্যান সম্ভবত এই হারকে আরও উত্তরে ঠেলে দেবে।এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, দিল্লি হলুদ সতর্কতার অধীনে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে – শহরের চার-পর্যায়ের গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্রাপ -এর একটি অংশ যা সম্ভাব্য করোনার তৃতীয় থাবার প্আশঙ্কায় তৈরি করা হয়েছে। দিল্লিতে কেজিওয়ালের নির্দেশে মল, রেস্তোরাঁ, দোকান, সিনেমা হল স্পা এবং জিম বন্ধ ছিল। স্কুল-কলেজও ছিল বন্ধ। প্রাইভেট অফিসগুলি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ব্যক্তির কাজ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

 




Back to top button